স্বামী বিবেকানন্দ । লের বিছানাপত্র তদারক করিতেন, দেখিতেন রৌদ্র বা হাওয়ায্য দেওয়া হইয়াছে কি না। যদি কাহাকেও এ বিষয়ে অমনোযোগী দেখিতেন তখনই সাবধান করি যা দিতেন। আর এক বার “বাঘা’ ঠাকুবপুজাব জন্য আনীত জল নষ্ট করিয়া দেওয়াষ। যে ব্ৰহ্মচাবীব। উপর উহার তত্ত্বাবধানের ভাব ছিল তাহাকে খুব বকিয়া দেন। জীবনেব শেষ বৎসব। তিনি নিষম কবিযছিলেন। মঠের সন্ন্যাসীবা ঠাকুবেৰ অনুকাবণে কেবল মধ্যাঙ্কে এক বার পূর্ণ আহাৰ কবিবেন এবং প্রাতে ও সন্ধ্যান্য অল্প জলযোগ করিবেন, দুবেল পূর্ণ আহাৰ কবিতে পাইবেন না। আব প্ৰত্যহ নিযম কলিযা যাহাতে বেদ ও পুবাণ পাঠ করা হয, তদ্বিষসে সকলকে পুনঃ পুনঃ বলিযা বাখিবাছিলেন। লীলাসংবরণের কিয়দিবস পুৰ্ব্ব হইতে নিজেও এই সবক্ষেত্রে উপস্থিত থাকি।যা সকলেব আনন্দ বদ্ধন কবিতেন। একবাৰ তিনি বলিযাছিলেন বেদেব ব্ৰাহ্মণভাগ হইতেই পুবাণেব উৎপত্তি । একদিন লাইব্রেরী হইতে ‘গোপথ ব্ৰাহ্মণ” আনাইযা শুদ্ধানন্দ স্বামীকে তাহার খানিকটা ব্যাখ্যা কবিতে বলিলেন, নিজেও সাহাষ্য করিতে লাগিলেন। তিনি নিসম কবিয দিয়াছিলেন। মধ্যাহ্বভোজনের পর মঠের কেহ নিদ্রা যাইতে পরিবেন না, একেবারে পুরাণ-পাঠের জন্য সমবেত হইবেন। স্বামিজী কোন কিছুরই ‘অতি’ অর্থাৎ আধিক্য, আতিশয্য ভালবাসিতেন না। পূজাদি সম্বন্ধেও সেই নিয়ম ছিল। ঠাকুর পূজা করিতে গিয়া বেশী তাড়াতাড়ি বা অনাবশ্যক আড়ম্বরপূর্ণ বিধি নিয়ম পালনের পক্ষপাতী ছিলেন না। ভক্তির সহিত, অকপট হৃদয়ে পূজা save
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।