মহাপ্ৰস্থানের পূর্বাভাস। স্বামিজীর জীবনের শেষ দুই মাসে ( ১৯০২ খ্ৰীষ্টাব্দের মে ও জুন । এমন অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনা ঘটিয়াছিল যাহা হইতে বুঝিতে পারা যায তিনি তখন মনে মনে মহাযাত্রার শাসোজিন করিতেছিলেন । কিন্তু তৎকালে তঁাহার গুরুভ্ৰাত বা শিষ্যমণ্ডলীর মধ্যে কাহারও অন্তঃকরণে ঘূণাক্ষরেও সে সন্দেহের উদয় হয় নাই। তাহার দেহাবসানের পর সকলেই বুঝিতে পারিলেন যে এই সময়কার অতি ক্ষুদ্রতম ঘটনার মধ্যেও একটা গুঢ় উদ্দেশ্য প্রচ্ছন্ন ছিল। তাহার সামান্য কথাবাৰ্ত্তার মধ্যে একটা অস্পষ্ট ইঙ্গিত ও অর্থ নিহিত ছিল, কিন্তু তঁহার জীবদ্দশায় কেহ তাহা লক্ষ্য বা তন্মধ্যে প্ৰবেশ করিবার চেষ্টা করেন নাই বাস্তবিক, স্বামিজীর শরীরের অবস্থা বিশেষ মন্দ হইয়াছিল বটে, কিন্তু তিনি যে এত শাস্ত্ৰ মৰ্ত্ত্যলোক ছাড়িয়া যাইবেন একথা কেহ কল্পনাও করেন নাই। ৬/কাশীধাম হইতে প্ৰত্যাগমনের পর তিনি তাহার সমুদয় সন্ন্যাসী শিষ্যগণকে দেখিবার অভিলাষে স্বহস্তে পত্র লিখিয়া তাহাদিগকে ২১ দিনের জন্যও তেঁহায় সহিত দেখা করিতে লিখিয়াছিলেন । এমন কি যাহারা দূর সমুদ্রের পরপারে পৃথিবীর অপর অংশে ছিলেন তাহাদিগের নিকটও পত্ৰ গিয়াছিল। কেহ কেহ। আহ্বান পৌঁছিবামাত্র ত্বরিত পদে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন। কেহ বা গুরুতর। কাৰ্য্যানুরোধ ঠিক সময়ে আসিয়া obra
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।