স্বামী বিবেকানন্দ । শায়িত হইয়া একদিন তিনি একজন শিষ্যকে পঞ্জিকা পাঠ করিতে বলিযাছিলেন এবং দুই চারিটি দিন পড়িয়া শুনাইবার পর বলিষাছিলেন “হযেছে, আব্ব দরকার নেই।” স্বামিজীও তাহার পদাঙ্কানুসাবণ করতঃ মহাপ্ৰস্থানের দিন নিৰ্বাচিত করিষা রাখিয়াছিলেন। কিন্তু আশ্চৰ্য্যোব বিষয। একথা তখন একবারও কাহারও মনে উদয কয় নাই । দেহত্যাগের তিন দিবস পুৰ্ব্বে একদিন অপরাত্নে মঠের তৃণাচ্ছাদিত মযদানে লমণ কবিতে করিতে স্বামিজীী গঙ্গাতীবোৰ একটি স্থানে অঙ্গুলি নির্দেশ কবিষ, গম্ভীরভাবে বলিয়াছিলেন। “আমার দেহ গেলে ঐ খানে সৎকার কবিৰ ।” তাহাব আদেশ মত ীৈ খানেই এখন তাহার সমাধি মন্দিৰ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। পাঠকেব। বোধ হয মনে আছে। অচ্যুতানন্দ স্বামীকে ১৮৯৭ সালের ১০ই আগষ্ট তিনি বলিষাছিলেন “আর পাঁচ ছয বৎসব মাত্র জীবিত থাকিব।” কিন্তু ইহা অপেক্ষা আরও স্পষ্ট আভাস দিযাছিলেন। ১৯০১ সালে। ঢাকাব্য জনসাধারণের সম্মুখে বক্তৃতা দেওযার পর একদিন তিনি গম্ভীবভাবে শিষ্যদিগের সম্মুখে এই কথা বলিষ সকলকে চমকিত কবিষা দিযাছিলেন-“আমি আর বড় জোর একবছর আছি। এখন শুধু মাকে (তাহাব গৰ্ভধারিণী) গোটা কতক তীৰ্থ দৰ্শন করিযে আনতে পাল্লেষ্ট আমুর কৰ্ত্তব্য শেষ হয়। তাই চন্দ্রনাথ আর কামাখ্যায় যাচ্ছি। তোরা কে কে আমার সঙ্গে যাবি বল। স্ত্রীলোকের উপর যাদের খুব ভক্তিশ্রদ্ধা আছে শুধু তারাই যেতে পারে।” > obr8
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।