স্বামী বিৰেকানন্দ । বিপিনচন্দ্ৰ ঘোষ মহাশয় আসিলেন। তিনি স্বামিজীর দেহ পরীক্ষা করিয়া এবং সমস্ত দেখিয়া শুনিষ বলিলেন Apoplexy বা সন্ন্যাসবোগে মৃত্যু হইয়াছে। কিন্তু বান্ত্ৰে মহেন্দ্রবাবু বলিযা গিযাছিলেন হৃদরোগই মৃত্যুর কারণ। তাহার পর আবও অন্যান্য ডাক্তার আসিযাছিলেন । কিন্তু লক্ষণাদি শুনি যা কেহই কি কাবণে ঠিক মৃত্যু হইযাছে তৎসম্বন্ধে একমত হইতে পারিলেন না। কেহ কেহ বলিলেন মাথার শিরা ছিড়িষ্যা গিয়াছে। ইহা হইতে আব্ব কিছু না হউক, এইটুকু বুঝিতে পারা যায় যে জপ ও ধ্যান কবিতে কবিতে ব্ৰহ্মরন্ধ ভেদ করিয়া স্বামিজীর প্রাণবায়ু অনন্তে বিলীন হঈসা গিয়াছিল, প্রকৃতপক্ষে তাহার মৃত্যুর যথাযথ কারণ কোন চিকিৎসকই স্থির কবিতে পারেন নাই। তবে যিনি যাহাঁই বলুন মােঠর সন্ন্যাসীদিগের দৃঢ় বিশ্বাস শ্ৰীরামকৃষ্ণদেব যাহা বলিতেন তাহাই ঘটিয়াছে অর্থাৎ স্বামিজী যোগাবলম্বন পুৰ্ব্বক সমাপিতে দেহত্যাগ করিয়াছেন। জন্মও অদ্ভুত-মৃত্যুও অদ্ভুত! সিষ্টার নিবেদিত প্ৰাতেই আসিযাছিলেন। তিনি স্বামিজীয় দেহ পাশ্বে বসিষা বেলা ২টা পৰ্য্যন্ত ধীরে ধীবে ব্যজন করিতে লাগিলেন। ২টার সময। নীচের দালানে দেহ নামাইয়া আনা হইল। তারপৰ উক্ত গৈাবিক বসনে আচ্ছাদিত ও পুষ্প মাল্য বিভূষিত করিয়া অলক্তক-রঞ্জিত চরণদ্বয্যের চিহ্ন গ্ৰহণ করা হইল। তদনন্তব ঐ পুণ্যদেহ প্ৰদক্ষিণ করিয়া ধূপ ধূনা প্ৰজ্জ্বলন ও শঙ্খ ঘণ্টা নিনাদ সহকারে দীপারিতি সম্পাদিত হইল। তার পর সকলে একে একে স্বামিজীব শ্ৰীচরণে মস্তক স্পৰ্শ ob8
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।