স্বামী বিবেকানন্দ । ছিলেন বটে। কিন্তু তাহার মূল লক্ষ্য ছিল ভারতের শ্ৰেয় সাধন। মন্দভাগিণী ভারত সর্বস্ব হারাইলেও তাহার শূন্য রাজকোষে লুপ্ত ঐশ্বৰ্য্যের শেষ চিকুস্বৰূপ এখনও এই মহাহঁ বেদান্তব্যত্ন পূঞ্জীভূত কুসংস্কার ধুলিরাশিব মধ্যে এক অবজ্ঞাত কোণে পড়িয়া ছিল। স্বামিজী আসিয়া আমাদের চুক্ষে অঙ্গুলি দিয়া দেখাইয়া গিয়াছেন এখনও এ রত্নের পবিবৰ্ত্তে দুঃখিনী ভাবতেব ত্রিশকোটী অসাহায্য সন্তানের ভাগ্য আবার ফিবিতে পারে। সেইজন্য তিনি সমগ্ৰ জাতির চিন্তাভার আপনি মস্তকে লইয অমানুষিক পবিশ্রমে হৃদযরক্ত পাত করিষা এ গভীব অরণ্যে সুৰ্য্যোলোক প্রবেশের পথ প্ৰস্তুত করিয়া গিযাছেন। এখনও অনেক কাৰ্য্য বাকী। কোথায নবযুগের বথিবৃন্দ, স্বামিজীর কণ্টকদীর্ণ গুরুভার পতাকা স্কন্ধে গ্ৰহণ করিষা কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হও । এস বাঙ্গালী, এস ভাবতবাসী হীনতার কলঙ্কডালি লইয়া কাঙ্গালের ন্যান্য সভ্যজাতির রাজসূয় সম্ভাব বহির্দেশ বসিষা না থাকিয়া, বীবদৰ্পে উত্থিত হও, স্বামিজীর পূণ্যচরিত স্মরণ কবিষ, তাহার অক্ষয় স্মৃতির বাজদূঢবৰ্ম্মে সজ্জিত হইয়া কঠোর কৰ্ত্তব্যের অভিমুখে ধাবিত হও, ভারতের ভবিষ্যৎ উন্নতির দ্বার মুক্ত কবিয়া দাও। তাহা হইলেই তঁাহাব দেহধারণ সাৰ্থক হইবে। ওঁ শিবমস্তু । g
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।