স্বামী বিবেকানন্দ। কথা আর কখনও বল নাই। আমায় মারে কে ? জড় জগতের সম্রাট তুমি আমায় মাবিবে? তাহা কখনই হইতে পারে না । আমি চৈতন্যস্বরূপ, অর্জ ও অক্ষয় ; আমি কখনও জন্মাই নাই, কখন মরিব না, আমি অনন্ত সৰ্ব্বব্যাপী ও - সর্বজ্ঞ। তুমি বালক, তুমি আমাখ মাবিবো ?’ ইহাই প্ৰকৃত তেজঃ, ইহাই প্ৰকৃত নিভাকত। বন্ধুগণ । উপনিষদুক্ত এই তেজস্বিতাই এক্ষণে বিশেষভাবে আমাদেব জীবনে “রিণত করা আবশ্যক হইয়া পড়িয়াছে।” তৃতীয় বক্তৃতায় তিনি বলেন ধৰ্ম্মজীবন লাভ করিতে হইলে ঋষি হইতে হইবে-ঋষি, অর্থাৎ যিনি ধৰ্ম্মকে সাক্ষাৎ ভাবে উপলব্ধি করিয়াছেন। তারপর শ্ৰীরামচন্দ্ৰ, সীতাদেবী ও গীতা প্ৰচাবক শ্ৰীকৃষ্ণ হইতে, ভগবান বুদ্ধদেব, জ্ঞানবতাব শঙ্করাচাৰ্য্য, মুহানুভব রামানুজাচাৰ্য্য, প্ৰেমাবতীর ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য ও জ্ঞান ভক্তি সমন্বয়াচাৰ্য্য ভগবান গ্রীরামকৃষ্ণদেব-সকলের জীবন আলোচনা ও তাহা হইতে কি শিক্ষালাভ হয় তাহাব বর্ণনা করেন। চতুৰ্থ বক্তৃতাটি ট্রপ্লিকেন সাহিত্য সমিতিতে প্রদত্ত হয়। পাঠকের স্বরণ থাকিতে পারে আমেবিকা গমনের পূৰ্ব্বে এই সমিতির সভ্যগণের সহিত স্বামিজীর পরিচয় হইয়াছিল। তাহদের সহিত মানাবিষয়ে আলোচনা হওয়াতে ক্ৰমশঃ মান্দ্ৰাজবাসীরা তঁহার অদ্ভুত ক্ষমতাবলীর পরিচয় পায় এবং অবশেষে তঁহাদের চেষ্টাতেই তিনি চিকাগো ধৰ্ম্মমহাসভায় হিন্দুধম্মের প্ৰতিনিধিরূপে প্রেরিত হন। এই সকল কারণে এই বক্তৃতাটি বিশেষভাবে প্ৰণিধানযোগ্য। R
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।