भीडङ्ग ! শেষ বক্তৃতাটি একটি বৃহৎ তাবুর মধ্যে প্রদত্ত হয়, তাহাতে প্ৰায় চারি সহস্ৰ ব্যক্তির সমাগম হইয়াছিল। উপরিউক্ত বক্তৃতা দান ব্যতীত 'চেল্লাপুঞ্জী অন্নদানম’ নামক এক দাতব্য ভাণ্ডারের সাম্বাৎসরিক অধিবেশনে স্বামিজী সভাপতিত্ব গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। এইখানে একজন বক্তা অন্যান্য । জাতি অপেক্ষ বিশেষভাবে ব্ৰাহ্মণজাতিকে ভিক্ষাদান প্রথার দোষ প্ৰদৰ্শন করেন। স্বামিৰ্জী লৈ বিষযে শালেন, “এই প্রথায় ভাল মন্দ দু’দিকই আছে। ব্ৰাহ্মণগণই হিন্দুজাতির সমুদয় জ্ঞান ও চিন্তাসম্পত্তিৰ বক্ষকস্বৰূপ । যদি তাহাদিগকে মাথায় ঘাম পাযে ফেলিয়া অন্নের সংস্থান করিতে হয়, তবে তঁহাদের জ্ঞানচর্চার বিশেষ ব্যাঘাত ঘটিলে ও সমগ্ৰ হিন্দুজাতি তাহাতে ক্ষতিগ্ৰস্ত হইবেন।” ভারতের অবিচারিত দান ও অন্যান্য জাতির বিধিবদ্ধ দাম প্রথার তুলনা করিয়া স্বামিজী বলিলেন, “ভারতের দরিদ্র মুষ্টিভিক্ষা লইয়া সন্তোষ ও শাস্তিতে জীবনযাপন করে, পাশ্চাত্য দেশের দরিদ্রকে আইনানুসারে গরীবখানায় ( Poor house ) যাইতে বাধ্য করা হয় ; মুম্বন্তৰ্ভুক্তিস্তু আহার অপেক্ষা-স্বাধীনতা ভূক্তৃত্যুয়ে, সুতরাং সে গরীবখানাখ না। যাইয়া সমাজের শত্ৰু চাের ডাকাত হইয়া দাড়ায়। ইহাদিগকে শাসনে রাখিবার জন্য আবার অতিরিক্ত পুলিশ ও জেল প্রভৃতির বন্দোবস্ত করিতে সমাজকে অতিশয় বেগ পাইতে হয়। সভ্যতা নামে পরিচিত ব্যাধি যতদিন সমাজশরীর অধিকার করিয়া থাকিবে, ততদিন দারিদ্র্য থাকিবেই, সুতরাং দরিদ্রকে সাহায্য দানেরও আবশ্যক Veso
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।