স্বামী বিবেকানন্দ । নাচিতেছে ও গাহিতেছে অদূরে “নহবতের তানতরঙ্গে সুরধুনী নৃত্য করিতেছেন। উৎসাহ আকাজক্ষা ধৰ্ম্মপিপাসা ও অনুরাগ মূৰ্ত্তিমান হইয়া শ্ৰীরামকৃষ্ণপার্ষদগণরূপে ইতস্ততঃ বিবাজ করিতেছেন।” সেবারকার উৎসব যে কি হর্ষেব বন্যা বহাইষাছিল। তাহা ভাষাষ প্ৰকাশ করা অসম্ভব । স্বামিজীর সহিত দুইটী ইংরাজ মহিলাও উৎসবে আসিযছিলেন। স্বামিজী তাহদের সঙ্গে কবিয পঞ্চবটী ও বিম্বমূল দর্শনে গমন কবিলেন এবং যাইতে যাইতে শবৎবাবু বিচিত উক্ত উৎসব সম্বন্ধীয একটি সংস্কৃত স্তব পাঠ করিতে লাগিলেন। স্বামিজী উহা পাঠ করিয়া সন্তুষ্ট হইলেন ও আরও লিখিবার জন্য শরৎবাবুকে উৎসাহ দিলেন। পঞ্চবটীতে ঠাকুবের অনেক ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। তন্মধ্যে নাট্টাচাৰ্য্য গিরিশ বাবুকে দেখিযা স্বামিজী প্ৰণাম করিলেন ও বুলিলেন “ঘোষজা, সেই একদিন আর এই একদিন।” গিবিশ ঘাবুও প্রতিনমস্কার করিষা বলিলেন “তা বটে, কিন্তু ইচ্ছে হচ্ছে আরও দেখি ” তারপর উভযের মধ্যে যে সকল কথা হইল। বাহিবের লোকে অনেকেই তাহার মৰ্ম্ম উপলব্ধি করিতে পারিলেন না। কিছুক্ষণ কথাবাৰ্ত্তার পর স্বামিজী বিশ্ববৃক্ষের দিকে অগ্রসর হইলেন। তঁহাৰ প্ৰস্থানের পর গিরিশবাবু উপস্থিত। উক্ত মণ্ডলীকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন-“একদিন হরমোহন (মিত্র) কি খবরের কাগজ দেখে এসে বল্পে যে স্বামিঞ্জীর নামে আমেরিকায় কি একটা কুৎসা রটেছে। আমি তখন তাকে বলেছিলাম, “নরেনকে যদি নিজ চক্ষে কিছু অন্যায় ক'তে দেখি তবে বলবো VoRo
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।