কলিকাতায় । আমার চোখের দোষ হয়েছে-চোক উপড়ে ফেলবো। চও সুৰ্য্যোদয়ের পূৰ্ব্বে তোলা মাখন, ওরা কি আর জলে মেশে ?” কিযৎক্ষণ পরে সমাগত লোকেরা স্বামিজীকে ঠাকুরের সম্বন্ধে লেকচার দিতে বলিলেন । কিন্তু সেই বিরাট জনসঙ্ঘের কোলাহল শব্দে তাহার কণ্ঠস্বর কোথায় ডুবিবা গেল। তিনি অগত্যা বক্তৃতার উদ্যম পরিত্যাগ করিয়া বসিয়া পড়িলেন ও সকলোব সহিত সহাবস্তািবদনে আলাপ করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। তারপর আবার ইংরাজ-মহিলা দুইটীকে সঙ্গে লইয়া ঠাকুরের সাধনস্থান দেখাইতে ও তাহার বিশিষ্ট ভক্ত ও অন্তরঙ্গগণের সঙ্গে আলাপ ক'বাইয়া দিতে লাগিলেন। ইংরেজ মহিলার ধৰ্ম্মশিক্ষার জন্য র্তাহার সঙ্গে বহুদূবদেশ হইতে আসিয়াছেন দেখিয়া দর্শকগণের মধ্যে কেহ কেহ আশ্চৰ্য্য হইয় তাহার অদ্ভুত শক্তির কথা বলাবলি করিতে লাগিল । বেলা তিনটার সময় তিনি আলমবাজার মঠে প্ৰত্যাগমন করিলেন। পথে আসিতে আসিতে বলিলেন যে সাধারণের জন্য (অর্থাৎ যাহারা উচ্চ দার্শনিক ভাব গ্রহণে অক্ষম) ধৰ্ম্মবিষয়কু উৎসব ও বাহু পূজানুষ্ঠানের অনেক সময়ে দূরকার হইয়া পড়ে। হিন্দুদের বারো মাসে তেরো পাৰ্বণ-এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে- ধৰ্ম্মর বড় বড় ভাবগুলি ক্রমশঃ লোকের ভেতর প্রবেশ ফিরিয়ে দেওয়া। তবে ওর একটা দোষও আছে। সাধারণ লোকে ঐ সকলের প্রকৃত ভােব না। বুঝে ঐ সকলে মেতে যায়, তারপর উৎসব আমোদ থেমে গেলেই আবার যা, তাই হয়। ഷത്ത ܕܢܛܪ
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।