গোপাল শীলের বাগানে । এই সময়ে যদিও তিনি প্রধানতঃ গোপাল লাল শীলের কাশীপুরের বাগানে ও আলমবাজার মঠে অবস্থান কবিতেন, তথাপি প্ৰায় অন্যান্য রামকৃষ্ণভক্তদিগের সহিত সাক্ষাৎ কবিতে যাইতেন ও ধনী দরিদ্র সকলের সহিত সমভাবে মিশিতেন। স্বামিজীব সুখ্যাতি তখন ভারতের একপ্রাস্ত হইতে অপরপ্রাস্ত পৰ্যন্ত প্ৰতিধ্বনিত । সুতরাং অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তি এবং উৎসাহশীল যুবক ও কলেজের ছাত্র প্রত্যহ তাহার দর্শনার্থ শীলেদের বাগানে আসিতেন । কোঙ্ক আসিতেন। তঁহার নিকট জ্ঞানোপদেশ লাভের আশায়, কেহ কৌতুহল বৃত্তি চরিতার্থকরিবার জন্য, আবার কেহব আসিতেন। কেবল তঁহার শাস্ত্ৰজ্ঞান পরীক্ষার উদ্দেশ্যে । কিন্তু শেষে সকলেই তঁহার সহিত আলাপ ও তঁহার মুখে শাস্ত্রব্যাখ্যা শুনিষা ভূপ্তিলাভ করিতেন এবং তঁহার অত্যাশ্চৰ্য্য পাণ্ডিত্য দর্শনে স্তম্ভিত হইয়া যাইতেন। র্তাহার মুখমণ্ডলের অপূৰ্ব্ব দীপ্তি লক্ষ্য করিয়া অনেকেই মনে ভাবিতেন তাঁহার যোগৈশ্বৰ্য্য লাভ হইয়াছে। স্বামিশিষ্য-সংবাদ প্রণেতা বলেন “প্ৰশ্নকৰ্ত্তার স্বামিজীর শাস্ত্ৰব্যাখ্যা শুনিয়া মুগ্ধ হইয়া যাইত এবং তঁাহার উদ্ভিন্ন প্ৰতিভায় বড় বড় দার্শনিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা পণ্ডিতগণ নিৰ্বাক হইয়া অবস্থান করিত। স্বামিজীর কণ্ঠে বীণাপাণি যেন সৰ্ব্বদা অবস্থান করিতেন।” ie R
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।