; ছিলেন “ত্যাগ চাই। যাহারা ত্যাগ অভ্যাস না করে তাহারা ধীরে ধীরে অধঃপাতে যায়, যেমন বল্লভাচার্য্যের দল!” , ? ? পরের উপকারের জন্য জীবন উৎসর্গ করা তিনি সেবাধৰ্ম্মের - শ্ৰেষ্ঠ আদর্শ বলিয়া মনে করিতেন। একদিন তিনি একটি যুবকের সহিত আলাপ করিতেছিলেন। ঐ যুবক বলিলেন “স্বামিজী, আমি অনেক দলে মিশিয়াছি; কিন্তু সত্য যে কি তাহা আজও টুক্ করিতে পারিলাম না।” স্বামিজী সস্নেহে বলিলেন ‘বৎস, ভয় নাই। আমারও একদিন ঐ অবস্থা ছিল। আচ্ছা বল, কোন বেথুন দল তোমায় কি উপদেশ দিয়েছে, আর তুমি তাহার কতটা প্রতিপালন করিয়াছ।” যুবক বলিলেন যে থিওসফি সম্প্রদায়ের একজন সুপণ্ডিত প্রচারক। তঁহাকে মুক্তিপূজার আবশ্যকতা ও সত্যতা সুন্দরীরূপে বুঝাইয়া দিয়াছেন। সেই অবধি তিনি বিশেষ মনােযোগ সহকারে প্রত্যহ পূজা ও জপ করিয়া আসিতেছেন, কিন্তু তথাপি শাস্তি পান নাই। তারপর আর একজুনের উদ্ভদেশে ধ্যানের * সময় মনকে সম্পূর্ণ নির্বিষয় করিতে চেষ্টা কািরয়াও তিনি শান্তি পান নাই। বলিলেন মহাশয়, আমি প্রত্যহ দ্বারবন্ধ "করিয়া ধ্যানে ব্রাসি ও অনেকক্ষণ চক্ষুমুদ্রিত করিয়া থাকি। কিন্তু তবুও শান্তি ; পাই না কেন ? স্বামিজী বলিলেন, “শান্তি सलेि চাও ঠিক উহার “মেলিয়া চারিদিকে দেখিতে হইবে তোমার আশেপাশে। কত লোক তোমার সাহায্যের প্রত্যাশ্লায় রহিয়াছে তাহাদিগকে সাহায্য করা ক্ষুধাৰ্ত্তকে অন্নদাও, তৃষ্ণাৰ্জকে জল দাও, যথাসাধ্য পরের উপকার করুণ-তাতেই মনের শাস্তি হইবে।” *.... . R8. ... it ' ' ' ',
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।