গোপাল শীলের বাগানে ? যুবক বলিল “কিন্তু ধরুন, যদি পীড়িতের শুশ্রুষা করিতে গিষা আমি নিজে বিপদে পড়ি ? রাত্রি জাগরণ, অনিয়মিত আহার ইত্যাদিতে যদি আমার নিজেবই শরীর-” স্বামিজীী বিরক্ত হইষা বলিলেন “থাক থাক্, বুঝেছি। তোমার সে ভয় নেই। তুমি কোন কালে পরের জন্য রাত্রি জগতেও যােচ্ছ না, আর তোমার সেজন্য ব্যান্যরামে পড়ারও কোন সম্ভাবনা নেই।” তাহার কথাব মৰ্ম্ম এই যে আত্মসুখপবাযণ ব্যক্তি দ্বারা কোন কালে পরের সেবা হয না । আব্ব একদিন কথাপ্রসঙ্গে রামকৃষ্ণভক্ত জনৈক বিজ্ঞান অধ্যাপক তঁহাকে বলিযাছিলেন “তুমি যে কেবল সেবা, দান আর পরোপকারের কথা বল, ওসব ত মায়ারাজ্যের অন্তর্গত। যখন বেদান্তের মতে মুক্তিই জীবের চরম লক্ষ্য, তখন মায়ার বেড়ী কাটানই দরকার, তবে এ সব প্রচারের দরকার কি ? এতেও তা শুধু সাংসারিক বিষয়ের দিকেই মনকে টেনে নিয়ে যায়!” স্বামিজী মুহূৰ্ত্তমাত্র ইতস্তম্ভ না করিয়াবলিলেন “আচ্ছা! মুক্তির ধারণাটাও কি মায়ার অন্তর্গত নহে? বেদান্ত কি বলছেন না যে আত্মা চিরমুক্ত ? তবে আবার আত্মার মুক্তির জন্য চেষ্টা “ কেন ?” প্ৰশ্নকৰ্ত্তা নীরব রহিলেন। তাহার মতে ভক্তিদ্বৈাগ, ধ্যাম ও মুক্তির চেষ্টাই প্ৰকৃত ধৰ্ম্মজীবন, আর বাকী সব, এমন কি কৰ্ম্মযোগ পৰ্য্যন্ত সবই মায়া । তাহার এ ধায়ণা ছিল না যে জীবন্মুক্তের নিকট সবই মায়া। কিন্তু প্ৰবৰ্ত্তক অবস্থায় "সব মার্গেরই উপযোগিষ্ঠা আছে। visit
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।