স্বামী বিবেকানন্দ । দৃষ্টিশক্তির প্রসার বাড়িত ও মনেব সঙ্কীর্ণত ঘুচিযা যাইত। উদাহরণস্বরূপ এখানে দুইটি ঘটনাব উল্লেখ কবা। যাইতেছে। কতকগুলি গুজবাট পণ্ডিত স্বামিজীব নাম ও বিদ্যাগৌবব শুনিয়া পরীক্ষা করিবাব মানসে একদিন শীলেদেব বাগানে গিয়া উপস্থিত হইলেন ও তাহাব সহিত শাস্তুবিষযক বিচাবে প্ৰবৃত্ত হইলেন। র্তাহাবা সকলেই দৰ্শনশাস্ত্র বিশাবাদ ও ব্যাকবাণাদি শাস্ত্ৰে সুপণ্ডিত। বিশেষতঃ তঁহাদেব সংস্কৃতে অনর্গল কথোপকথন করিবার ক্ষমতা ছিল । তাহাব আসিষাই স্বামিজীকে সংস্কৃতে প্রশ্ন করিলেন, মতলব যে তঁহাকে বিপদে ফেলিবেন । কিন্তু যদিও তঁাহাব কযেক বৎসব ধরিয়া আদৌ সংস্কৃত বলা ঘা সংস্কৃত চর্চা করা অভ্যাস ছিল না, তথাপি তিনি অতি ধীব গম্ভীরভাবে বিশুদ্ধ ও সুললিত সংস্কৃতে র্তাহাদিগেব। প্রশ্লেব উত্তর ও তর্কের মীমাংসা করিতে লাগিলেন । সমাগত সকলেই এবং পরে পণ্ডিতগণও স্বীকার কবিয়াছিলেন যে স্বামিজীর ভাষা পণ্ডিতদিগের ভাষা অপেক্ষা অনেকাংশে সবস ও শ্রুতিমধুৰ হইযছিল । সকলেই সেদিন তাহাৰ ক্ষমতা দর্শনে আশ্চৰ্য্য হইয পিঁয়াছিলেন। কেবল এক স্থানে তিনি ভ্ৰমক্রমে ‘স্বস্তি’ বলিতে “অস্তি’ বলিয়া ফেলিযাছিলেন। আমনি পণ্ডিতগণ মহা হান্ত, চীৎকার ও কোলাহল করিয়া উঠিলেন। স্বামিজী তৎক্ষণাৎ নিজ ভ্ৰম সংশোধন করিষা বলিলেন “পণ্ডিতামাং দাসোৎইং ক্ষন্তব্যমেতং শ্বলনং’-আমি পণ্ডিতগণের দাস, ; আমায়াঃই ব্যাকরণ স্থলন ক্ষমা করুন। পণ্ডিতেরা তাহার সৌজন্য ও বিজ যদর্শনে সন্তুষ্ট হইলেন । a R
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।