গোপাল শীলের ঘাগানে । বিচারের বিষয়ে বহুল ও বিবিধ ছিল। তবে মুখ্য বিষয় ছিল ‘পূৰ্ব্বমীমাংসা ও উত্তরমীমাংসার মধ্যে কোনটী শ্ৰেষ্ঠতর ?” স্বামিজী বাদে সিদ্ধান্তপক্ষ ও পণ্ডিতগণ পূৰ্ব্বপক্ষ অবলম্বন করিয়াছিলেন। অনেকক্ষণ বাদানুবাদের পর অবশেষে তাহারা সিদ্ধান্তপক্ষেব মীমাংসা পৰ্য্যাপ্ত বলিযা স্বীকার করিতে বাধ্য হইলেন এবং যাইবাৰ সময়ে সকলেব সমক্ষে বলিষা গেলেন “ব্যাকরণশাস্ত্ৰে, গভীব বুৎপত্তি না থাকিলেও শাস্ত্রের গৃঢাৰ্থ প্রণিধানে স্বামিজীর ܨ অসাধাৰণ অধিকার আছে। তিনি প্ৰকৃত শাস্ত্রার্থদুষ্ট এবং তর্ক ও বিচারেন ক্ষমতাও তাহার অতি অভিনব। আর যেভাঘে তিনি বাদ খণ্ডন ও মীমাংসা করিযাছেন তাহাতে তাহার অদ্ভুত পাণ্ডিত্য ও অদ্বিতীয় প্রতিভার পরিচয় পাওযা গিয়াছে।” স্বামিজীর ভক্তেরা আবও শুনিতে পাইলেন পণ্ডিতেরা আপনাদিগের মধ্যে বলাবলি করিতেছেন “ স্বামিজীর চোখের একটা মাদকত্ব শক্তি আছে। ঐ শক্তিতেই বোধ হয। উনি জগৎ, জয় করেছেন।” বস্তুতঃই তাহার মোহিনী দৃষ্টিশক্তির প্রভাব রোধ করিবার ক্ষমতা কাহারও ছিল না। সে শুধু পাণ্ডিত্যের আভা নহে, কিন্তু ব্ৰহ্মচৰ্য্য ও বৈরাগ্যের বিষম তেজ। র্যাহারা তাহাকে দেখিয়াছেন। তঁহারা অনেকেই বলিয়া থাকেন। ‘অমান চোখ কখন জীবনে দেখিনি।” পণ্ডিতেরা প্ৰস্থান করিলে স্বামিজী তাঁহাদের বিরূপ স্মরণ করিষা বলিলেন অনেক বৎসর সংস্কৃতে কথা বলা অস্ত্যাস না থাকায় ওরূপ ভ্ৰম হইয়াছিল। অবশ্য সেজন্য তিনি পণ্ডিতগণেব উপর দোষারোপ করিলেন না। তবে বলিলেন পাশ্চাত্য
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।