গোপাল শীলের বাগামে । সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। কিন্তু সৰ্ব্বাপেক্ষা বিস্মষের কারণ এই স্বামিজী কি করিয়া তাহদের মনোভাব জানিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিবার পূর্বেই অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর দিলেন। পবে একদিন সিংহ মহাশয় স্বামিজীর নিকট এই ঘটনার উল্লেখ করিলে তিনি বলিয়াছিলেন “ও দেশেও অনেক সমষ ঠিক এইরূপ ঘটিত, আর লোকে আমায় জিজ্ঞাসা করিত কেমন করিয| আমি তাহদের মনোগত ভাব বুঝিযা কথা বলি ও তাঁহাদের প্রশ্নের মীমাংসা করি।” কথায় কথাব্য জাতিস্মরত, পরচিত্তজ্ঞতা প্ৰভৃতি অনেক প্রকায় যোগজ শক্তির আলোচনা হইল। হঠাৎ একজন স্বামিজীকে জিজ্ঞাসা করিলেন “আচ্ছা স্বামিজি, আপনি আপনাব পূর্ব পূৰ্ব্ব জন্মের বিষয়-জানেন ?” তিনি উত্তর করিলেন “ছ। নিশ্চয়ই, কিন্তু যখন তঁাহারা অতীতের যবনিকা উত্তোলন করিবার জন্য তঁহাকে নিৰ্ব্বন্ধতিশয় সহকাবে পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করিতে লাগিলেন। তখন তিনি বলিলেন “আমি সে সবই জানি এবং ইচ্ছা করিলে আরও জানিতে পারি, কিন্তু এ সম্বন্ধে কিছু না বুলাই ভাল।” বাস্তবিক কেবল কৌতুহল বৃত্তি চরিতাৰ্থ করিবার জন্য এ সকল গুহা রহস্তের উদ্ভেদ করা যুক্তিসঙ্গত নহে । এই সময়কার আর একটি ঘটনা হইতেও আমরা স্বামিজীর অতীন্দ্ৰিয় দর্শনশক্তির পরিচয় পাই । একদিন সন্ধ্যার সময় তিনি মঠের একটি ঘরে বসিয়া স্বামী প্ৰেমানন্দের সহিত গল্প করিতে করিতে হঠাৎ স্তন্ধভােব ধারণ করিলেন। কিয়াৎক্ষণ পরে গুরুভ্ৰাতাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন “তুমি কিছু দেখিলে ?” তিনি বলিলেন ‘না’। তখন স্বামিজী বলিলেন “আমি এইমাত্র একটা ot
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।