পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w ] פי সঙ্গে মিলিত হইয়া তথা হইতে দেরাদুন, সাহারাণপুর, দিল্লী, আলোয়ার জয়পুর ও খেতড়িতে র্তাহার সঙ্গে ভ্ৰমণ করি । খেতড়ি হইতে পৃথক হইয়া একমাস পরে পুনরায় কলিকাতায় তঁাহার সহিত মিলিত হই। ১৮৯৮-এর প্রথম ভাগে বেলুড়ে নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের বাগানবাটীতে মঠ উঠিয়া যাইলে কয়েকমাস তথায় তাহার সহিত একত্রবাসের সৌভাগ্যলাভ করি । তারপর তিনি কাশ্মীর প্রভৃতি স্থানে ভ্রমণের জন্য বাহির হইয়া নাইনিতাল হইয়া আলমোড়ায় গমন করিলে । আমিও মাসখানেক পরে তথায় ৪৫ দিনের জন্য মিলিত হই । তাহার কাশ্মীর হইতে প্ৰত্যাবর্তনের পর আবার কখনও কলিকাতায়, কখনও মাঠে ( ইহারই কিছু পরে বেলুড়ে স্থায়ী মঠবাটী নিৰ্ম্মিত হয় ) তিঁাহার সঙ্গ ও সাক্ষাৎ প্রায়ই ঘটিতে থাকে। ১৮৯৯ সালের জুনে তঁহার দ্বিতীয়বার পাশ্চাত্যদেশে গমনের সময় প্রিন্সেপ ঘাটে তাহার নিকট । বিদায় লইয়া আবার যখন ১৯০০ খ্ৰীষ্টাব্দের ৯ই ডিসেম্বর রাত্রি ৯টার’ সময় কোন সংবাদ না দিয়াই তিনি হঠাৎ মাঠে প্ৰত্যাগত হন, তখন আবার তাহার দর্শন লাভ হইল। ইহার পর অধিকাংশ সময় তিনি । মঠে যাপন করিয়াছেন-আমিও বিশেষ কারণে বাহিরে না। যাইলে স্বর্তাহার সঙ্গলাভ করিতাম। ইতিমধ্যে স্বামীজি যে কয়েকবার মঠ ছাড়িয়া কোথাও গমন করেন, তাহার মধ্যে ছিক্শ্লষাত্রার সময় । তাহার সঙ্গে কিছুদিন ছিলাম। অবশেষে যেদিন আঁমীদের কাদাইয়া তিনি মহাসমাধি প্ৰাপ্ত হইলেন তখনও তথায় উপস্থিত ছিলাম । স্বামীজির জীবনের যে সামান্য অংশ সম্বন্ধে আমার কতকটা প্ৰত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে, তাহার নির্দেশ করিলাম। 'এক্ষণে র্তাহার বিচিত্র ঘটনাপূর্ণ জীবনের ঘটনাবলী কি কি উপাদান হইতে প্ৰধানতঃ সংগৃহীত হইয়াছে, সংক্ষেপে তাহার কিঞ্চিৎ আভাস দিতেছি।