পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ምõ স্বামী বিবেকানন্দ - ১ম খণ্ড অতীব বিমর্ষ হইয়া নরেনের সঙ্গে সঙ্গে নিঃশব্দে. ক্লাসে চলিলেন। নরেন্দ্র অপদস্থ হইবার পাত্র নহেন, বন্ধুর ভাব দেখিয় তাহাকে অন্তরালে লইয়া কহিলেন “তুই হতাস হচ্ছিস্ কেন? ও বুড়ো অমন তাড়াতুড়ি দেয়। আমি বলছি তোর একটা উপায় করে দেব, তুই নিশ্চিন্ত হ। আমি যেমন করে পারি তোর একটা উপায় করব। তোর একজামিন দিতে পেলেই তা হ’ল ? ভাবিস্নি ভাই, নিশ্চয় বলছি তোর উপায় করবাে। এই আমার প্রতিজ্ঞ৷ ” বন্ধুর মুখের অন্ধকার ঘুচিয়৷ পুনরায় তাহাতে আশার আলোক দেখা দিল। বন্ধু ভাবিল নরেন বড় লোকের ছেলে, বাপ উকিল, তাহার গান শিখিবার জন্য বেতন দিয়া ওস্তাদ রাখেন, নরেন হয়ত বাপকে বলিয়াই অক্ষম বন্ধুর কোন উপায় করিয়া লইবেন, তাই তঁহার খ্রিত আত্মপ্ৰত্যয়। রাজকুমার : যখন বকেয়া বেতন না দিলে পরীক্ষা দিতে পাঠাইব্ৰুে নাঙুন * নরেন নিশ্চয় টাকার যোগাড়ই করিবেন। বন্ধ এইরূপ ভাবিয়া চিন্তিয়া নিশ্চিন্ত হইলেন। নরেন্দ্র কলেজ হইতে বাটী আসিয়া হোেষ্ট্রধারে একটু আধটু বেড়াইয়া বাটী ফিরিয়া আসিলেন। অন্যদিন সন্ধ্যের পরে আসেন, আজ একটু ব্যস্ত হইয়া সন্ধ্যার পূৰ্বেই আসিলেন, :- কিন্তু বাটী না। যাইয়া সিমুলিয়ার বাজারের সম্মুখে পদচারণ করিতে :: লাগিলেন, আর মধ্যে মধ্যে হেদোর দিকে সস্তৃষ্ণনয়নে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। বাজারের একটু পশ্চিমে যাইয়া দক্ষিণে একটি গলি, গলির মােড়ের উপরেই একটি বৃহৎ ১ গুলির আড়া। ইতিমধ্যে আড্ডায় যাইয়া নরেন আড়াধারীর সহিত চুপি চুপি দুই একটু কথা জিজ্ঞাসা করিলেন, আড়াধারী বিনু বাক্যব্যয়ে ঘাড় নাড়িম্বনা” বলিল। নরেন আবার হেদোর দিকে দুই চারি পর অগ্রসর হইয়াই পার্থের আর একটি গলির ভিতরক্ষাইয়া অপেক্ষা করিতেঁঠুন