পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলেজে brふ দিলেন, নরেন্দ্র একটু হাসিলেন মাত্র, কিন্তু গানের স্রোত থামিল না। দেখিয়া বন্ধু তথা হহঁতে প্ৰস্থান করিলেন। একজন বন্ধু আশ্চৰ্য্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন "নরেন, একজামিনের দিন কোথায় একটু আধটু খুৎ থাৎ যা আছে সেটুকু সেরে নেবে, না তোমার দেখছি সকল বিপরীত, বেড়ে ফুৰ্ত্তি কচ্ছ।” “নরেন উত্তর করিলেন ‘হ্যা তাই তা করছি, মাথাটা সাফ রাখছি, মগজটাকে একটু জিরেন দেওয়া চাই, নইলে এই দুঘণ্টা যা মাথায় ঢোকাবে সেটা ঢুকে আগেকার গুলোকে গুলিয়ে দেবে বই ত নয়। এতদিন পড়ে পড়ে যা হ’ল না তা কি আর দু’এক ঘণ্টায় হয় ? হয় না। “একজামিনে’র দিন সকাল বেলাটা কেবল ফুৰ্ত্তি, কেবল ফুৰ্ত্তি করে শরীর ঈর্ষনকে একটু শান্তি দিতে হয়। ঘোড়াটা খেটে এলে তাকে ডলাই মলাই করে। যেমন তাজা করে নিতে হয়, মগজটাকেও তুই করতে হয়।” fع * এই কালে নরেন্দ্র কঠোর ব্ৰহ্মচারীর ন্যায় দিন কাটাহঁতেন এবং অদ্ধেক রাত্ৰি ধ্যানমগ্ন থাকিতেন। চিন্তা ও দর্শনালোচনার ফলে ” ও স্বাভাবিক প্রবৃত্তিবশতঃ ব্ৰহ্মচৰ্য্য যে ধৰ্ম্মজীবনেবু, প্রথম অপরিহার্ঘ্য । সোপান ইহা তাহার দৃঢ় প্রতীতি হইয়াছিল। চিত্তশুদ্ধি ব্যতীত ! বেদান্তনির্দিষ্ট তত্ত্বজ্ঞানের উদয় হয় না, সুতরাং চিত্তশুদ্ধি আবশ্যক এবং ব্ৰহ্মচৰ্য পালন ব্যতীত প্রকৃত চিত্তশুদ্ধি হওয়া অসম্ভব। তজ্জন্য এখীন হইতে তিনি ব্ৰহ্মচারীর মত থাকিতে অভ্যাস করিতে লাগিলেন। , তবে অন্যের পক্ষে ব্ৰহ্মচারী হওয়া বলিলে যেমন অশুদ্ধি বা অপবিত্ৰতা হইতে বলপূৰ্ব্বক মনকে ফিরাইয়া শুদ্ধি বা পবিত্রতার দিকে লুইয়া । “যাওয়া বুঝায় তাহার পক্ষে ঠিক তাহা বুঝাইত না ; আশৈশব ঔহার ৫ স্বাভািবক প্রবৃত্তি ছিল সৎ, উচ্চ ও মহৎ": যৌবনারম্ভে শুধু এই প্ৰবৃত্তি :