পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনোরাজ্যে তুমুল ঝটিকা SG করিতেন, কিন্তু ‘স্পেন্সার’কেই সর্বাপেক্ষা অভ্রান্ত বলিয়া তাহার বোধ হইতে লাগিল। তিনি ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধে সন্দিহান এবং পুরোহিত দিগের সঙ্কীর্ণতা ও প্রতারণায় বিরক্তচিত্ত হইলেন বটে, কিন্তু সাধারণ নীতিকে অতিক্রম করা যে ২ পাপ ও সৰ্ব্বতোভাবে অন্যায়। ইহা মনে না করিয়া থাকিতে পারিলেন না । এ বিষয়ে তিনি ‘অগস্ত কোমতে’র দর্শনের (Positivism) আশ্রয় গ্ৰহণ করিলেশ এবং ব্যবহারিক জীবনে উহাকেই সর্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয় বোধে অনুসরণ করিতে লাগিলেন। কিন্তু এই অজ্ঞেয়বাদ অধিক দিন। তঁহাকে পরিতৃপ্ত রাখিতে, পারিল না । এ বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের প্রকৃতই কেহ স্রষ্টা নাই বা থাকিলেণ্ড তাহাকে জানা যায় না, হঁহা তিনি যতই ভাবিতে লাগিলেন ততহঁ বিদ্রোহী মন তাহাকে অধিকতর পীড়া দিতে লাগিল । डिनि যতই বিচার করিতে লাগিলেন ততই ঘোরতর সন্দেহান্ধকার ; তাহাকে চতুৰ্দিক্‌ হহঁতে আরও প্রচণ্ড ভাবে ঘিরিতে লাগিল। তিনি মনোমধে বিষম যাতনা অনুভব করিতে ২ লাগিলেন এবং কোনদিকে . সত্যের ক্ষীণতম আভাসমােত্রও না পাইয়া অতিশয় বিহ্বল হইয়া উঠিলেন। কিন্তু নৈতিক জীবনের উপযোগিতা সম্বন্ধে তাহার মনে বিন্দুমাত্ৰও সন্দেহ উপস্থিত হইল না। তঁহার আবাল্য বিশ্বাস, , গৃহের শিক্ষা ও জীবনযাপন-প্ৰণালী তাঁহাকে এই সত্যের দিক হইতে কিছুতেই বিচলিত করিতে সমর্থ হইল না। তৎকালে তাহার মনের ঐইরূপ . ভাব হইয়াছিল যে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধে মনে যতই গভীর সন্দেহ হউক না কেন, সেই ছলে ব্যবহারিক জীবনের বিশুদ্ধতা বৈষ্ণু করা কোন বুদ্ধিমানু মনুষ্যেরই উচিত নহে। মানুষের বিচারশক্তি" মতই অগ্রসর হউক না তাহার একটা সীমা আছে, অনেক বিষয় জানিবার ক্ষমতা তাহার নাই, সুতরাং হৃদয়কে সম্পূর্ণরূপে নিৰ্বাসিত