পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ଈ স্বামী विरुदकानमा > RIVS বা সাক্ষাৎ উপলব্ধি । নরেন্দ্র-চরিত্রে এই আধ্যাত্মিক উপলব্ধি ও সংশয়াকুল চিত্ত দুইটী পাশাপাশি অবস্থিতি করিত। ইহাই তাহার ” বিশেষত্ব। সন্দেহবাদীদের ন্যায় তিনি অন্ধকারের মধ্যে আপনার পথ হারাইয়া ফেলেন নাই । অন্ধকারেও আলোর আশায় ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতেছিলেন। ঐ ক্ৰমশঃ যত দিন যাইতে লাগিল সত্যলাভের প্ৰতিজ্ঞা ততই তঁহার মনোমধ্যে দৃঢ় হইয়া উঠিতে লাগিল। কিন্তু অজ্ঞেয়বাদে অনুসন্ধিৎসু মন অধিক দিন পরিতৃপ্ত থাকিতে পারে না । নরেন্দ্রও পারিলেন না। “জ্ঞানের সীমা এতদূর পর্য্যন্ত, এর বেশী আর জানিবার উপায় নাই’ এভাবে বেশী দিন চলিল না। যদিও তাহার স্বভাবসিদ্ধ ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি সন্দেহ ও বিচারের পদতলে নিষ্পেষিত হইয়া প্ৰায় প্রাণ হারাইবার উদ্যোগ করিয়াছিল, তথাপি কঠোর ব্ৰহ্মচৰ্য্য ও ত্যাগের মাঝখানে একদিন তাহা কেমন করিয়া ফিরিয়া ১, আসিল এবং অজ্ঞেয়বাদকে নিৰ্বাসিত করিয়া তাহার স্থানে এক অদ্বিতীয় জ্ঞানময় ও প্ৰেমময় ঈশ্বরকে সগৌরবে প্রতিষ্ঠিত করিল। সেদিন হইতে র্তাহার ধ্রুববিশ্বাস হইল যে, ঈশ্বর প্রকৃতই আছেন, যদিও আমরা তঁহাকে চৰ্ম্মচক্ষে দেখিতে পাই না । সেদিন হইতে বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে শ্ৰদ্ধা আসিয়া তাহার মস্তককে সহজেই সেই । উপাস্ত ঈশ্বরের চরণোদেশে অবনত করিয়া দিল । সেদিন হইতে তিনি তঁহাদের বাটীর পূজার দালানে সঙ্গীদিগের নিকট কেবল আধ্যাত্মিক তত্ত্বের ব্যাখ্যা ও মহিমা প্রচার করিতে লাগিলেন, কিন্তু তাহাতেও তঁহার মনের পিপাসা মিটিতেছিল না। তিনি এমন একজন প্ৰাণের দোসর খুজিতেছিলেন যিনি তঁহার হৃদয়ৈর ভাব বুবিয়া তাহাকে অভীপ্তিসত পথে পরিচালিত করিতে সমর্থ হইবেন । কিন্তু এরূপ কেহই জুটিল না। তিনি সঙ্কল্প করিলেন যেমন করিয়াই হউক।