পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ » ९७ حاه لا না। তবে এদিনে পূর্বদিনের ন্যায় না হইয়া একেবারে সংজ্ঞা শুন্য হইয়া পড়িলেন। কিছুক্ষণ পরে চেতনা লাভ হইলে দেখিলেন ঠাকুর তঁহার বুকে হাত বুলাইয়া দিতেছেন এবং তঁাহাকে সংজ্ঞাপ্ৰাপ্ত হইতে দেখিয়া ঈষৎ হান্ত করিতেছেন। লীলা প্রসঙ্গকার বলেন, ঐ দিন নরেন্দ্রের বাহা সংজ্ঞ লোপ হইলে ঠাকুর তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, কে সে-কোথা হইতে আসিয়াছে—কেন আসিয়াছে (জন্মগ্রহণ করিয়াছে) কত দিন এখানে (পৃথিবীতে ) থাকিবে ইত্যাদি ইত্যাদি । নরেন্দ্রও তদাবস্থায় নিজের অন্তরে প্রবিষ্ট হইয়া ঐ সকল প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়াছিলেন । তাহা হইতে ঠাকুর জানিতে পারেন যে তিনি নরেন্দ্র সম্বন্ধে যাহা ভাবিয়াছিলেন সেগুলি সব সত্য এবং তিনি ( নরেন্দ্ৰ ) প্রকৃতই যাহা-যেদিন তাহা জানিতে পরিবেন, সেদিন আর দেহ রাখিবেন না,-সংকল্প দ্বারা যোগমার্গে দেহত্যাগ করবেন। তিনি নরেন্দ্রকে ‘ধ্যানসিদ্ধ মহাপুরুষ’ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছিলেন । 7 ܥܸܢ এইরূপে অষ্টাদশবর্ষ বয়সের সময়ৰ্থ হইতে স্বামীজি পরমহংসদেবের নিকট মধ্যে মধ্যে যাতায়াত করিতেন। কিন্তু তখনও তিনি সেই অলোকসামান্য মহাপুরুষের অদ্ভুত চরিত্র সম্যক্‌ অবধারণ করিতে পারেন নাই। কখনও মনে করিতেন, তিনি উন্মাদ-ঈশ্বরের ভাবনা ভাবিয়া মস্তিষ্ক বিরুত হইয়া গিয়াছে। কখনও ভাবিতেন, না, ইনি সত্যই সমাধিসিদ্ধ মহাপুরুষ, কিন্তু ঠিক তঁকে বুঝিয়া উঠিতে পারিতেন না। তিনি নিজের আন্তরিক" ধৰ্ম্মপিপাসা-শান্তি-মানসে ব্ৰাহ্মসমাজে ও অন্যান্য স্থানে মিশিতেন বটে, কিন্তু যখন কিছুতেই সত্যনিৰ্ম্ময় সমর্থ হইলেন না, যখন বুঝিলেন এমনুঃ কি স্বয়ং দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরপ্রের্য্যত্ব ঈশ্বর দর্শন করেন নাই, তখন তিনি স্থির করিলেন পরমহংসদেববে