পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অকুল চিন্তাসাগরে আশ্রয়। o এ সম্বন্ধে একবার জিজ্ঞাসা করিবেন। মনে ভয় হইতে লাগিল পাছে তিনিও বলেন ‘না, আমারও ঈশ্বর দর্শন হয় নাই ।” একদিন তিনি ঔৎসুক্যপূর্ণ হৃদয়ে দক্ষিণেশ্বরে উপনীত হইলেন এবং পরমহংসদেবকে জিজ্ঞাসা করিলেন তিনি ঈশ্বর দেখিয়াছেন কি ? না। পরমহংসদেব তৎক্ষণাৎ উত্তর করিলেন ‘হঁ। গো, এই যেমন তোমায় দেখছি।’ পরমহংসদেব নরেন্দ্রকে শুধু তিনি নিজে ঈশ্বর দর্শন করিয়াছেন ‘বলিয়াই ক্ষান্ত হন নাই, পরন্তু তেঁাহাকেও দেখাইয়া দিতে পারেন বলিয়াছিলেন। তাহার যে সকল অদ্ভুত অদ্ভুত রূপদৰ্শন । হইত প্ৰথম প্রথম ইংরাজী-শিক্ষিত বাহাযুক্তিমাত্ৰসহায় নরেন্দ্রনাথ তাহাদের বাস্তবসত্তায় সন্দিহান হইয়া ঐ সকল দর্শনের বিষয় হাসিয়াই উড়াইয়া দিতেন, কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি পরমহংসদেবের প্ৰেম, ভক্তি, বৈরাগ্য ও অমৃতময় উপদেশের প্রতি আকৃষ্ট হইতেছিলেন। তাহার দৃষ্টিশক্তি ক্ৰমশঃ প্রসারতা লাভ করিতেছিল এবং অনেক অন্তঃসংগ্রাম ও তর্ক বিরোধের পর অবশেষে তিনি পরমহংসদেবের সকল কথা সত্য বলিয়া মানিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। কিন্তু ইহা দু’ একদিনে হয় নাই, তিনি দীর্ঘ পাঁচবৎসর কাল ধরিয়া প্রতিপদে ঠাকুরকে পরীক্ষা করিয়াছিলেন ও সম্পূর্ণ প্রমাণ সহায়ে নিজের দৃঢ় বিশ্বাস উৎপন্ন হওয়ার পূর্ব পৰ্যন্ত কখনও তাহার প্রতি সন্দেহ ত্যাগ করেন নাই।