পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

STRE স্বামী বিবেকানন্দ »भ २७ জল আনিয়া তাহার মুখে সেচন করিবার উদ্যোগ করিতেছেন দেখিয়া নরেন্দ্ৰ তাহাকে নিবারণ করিয়া কহিলেন “জল দেবার দরকার নেই, উনি অজ্ঞান হন নি-ওঁর ভাব হয়েছে। আবার গান শুনতে শুনতেই জ্ঞান হবে এখন ৷” নরেন্দ্ৰ এইবার শু্যামবিষয়ক গান ধরিলেন-“একবার তেমনি তেমনি তেমনি করে নাচ মা শ্যামা”। শ্যামবিষয়ক অনেক গান হইল, কৃষ্ণ-বিষয়ক গানও অনেক হইল। গান শুনিতে শুনিতে রামকৃষ্ণ কখনও ভাববিষ্ট হইতেছেন, আবার কখনও বা সহজাবস্থা প্ৰাপ্ত হইতেছেন । নরেন্দ্ৰ অনেকক্ষণ ধরিয়া গান গাহিলেন, অবশেষে গান শেষ হইলে রামকৃষ্ণ কহিলেন “দক্ষিণেশ্বর যাবি ? কদিন ত যাস নি, চল না—আবার এখনি ফিরে আসিস।” নরেন্দ্র তখনই সম্মত হইলেন । পুস্তকাদি যেমন অবস্থায় পড়িয়াছিল। তেমনি পড়িয়া রহিল, কেবলমাত্র তানপুরাটী যত্নপূর্বক তুলিয়া রাখিয়া গুরুদেবের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে গমন করিলেন, বন্ধুরা স্ব স্ব স্থানে প্রস্থান করিলেন।” নরেন্দ্রের উপর পরমহংসদেবের ভালবাসা কত গভীর ছিল ও কিরূপ স্নেহচক্ষে তিনি তঁহাকে দেখিতেন সামান্য লেখনী দ্বারা তাহা” বর্ণনা করা যায় না। যে সময় নরেন্দ্র পরিবারবর্গের অন্ন সংস্থানের কোন উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিতে না পারিয়া বিশেষ চিন্তাযুক্ত, তখন তাহার মনে হইল যে সাধারণ লোকের ন্যায় অর্থার্জন করিয়া পরিবারবর্গের গ্রাসাচ্ছাদনের জন্যই তাহার জন্ম হয় নাই—এই বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তী হইয়া তিনি গৃহত্যাগে কৃতসংকল্প হইলেন। যাইবার সমস্তই ঠিক, এমন সময় পরমহংসদেব একদিন দক্ষিণেশ্বর হইতে জনৈক ভক্তের বাটীর্তে কলিকাতায় আগমন করিলেন। নরেন্দ্ৰ ভাবিলেন ভালই হইল, গুরু দৰ্শন করিয়া এইবার চিরদিনের মত গৃহত্যাগ । করিবেন। এই মানসে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলে পরমহংসদেব, 琴