পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণচরণে SSA র্তাহাকে দক্ষিণেশ্বরে যাইবার জন্য ধরিয়া বসিলেন । নরেন্দ্ৰ নানা ওজার আপত্তি করিতে লাগিলেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই তাহ শুনিলেন না। অগত্যা ঠাকুরের প্রত্যাবর্তন কালে তঁহার সহিত গাড়ীতে উঠিলেন, তখন আর কোন কথাবাৰ্ত্ত হইল না। দক্ষিণেশ্বরে পৌছিয়া পরমহংসদেব সমাগত ভক্তবৃন্দের সহিত গৃহমধ্যে উপবেশন করিলেন ও কিয়ৎক্ষণ পরে ভাবাবেশে বিভোর হইয়া নরেন্দ্রের নিকটবৰ্ত্তী হইয়া তাহাকে জড়াইয়া ধরিয়া সাশ্রনেত্ৰে গাহিতে লাগিলেন--- ‘কথা কহিতে ডরাই, না কহিতে ডরাই ( আমার) মনে সন্দ হয়। বুঝি তোমায় হারাই হা-রাই।” নরেন্দ্র আর স্থির থাকিতে পারিলেন না । তিনি অন্তরের রুদ্ধ ভাব রাশি আর চাপিয়া রাখিতে পারিলেন না, ঠাকুরের ন্যায় তাহারও বক্ষ নয়নজলে ভাসিয়া গেল। তিনি বুঝিলেন ঠাকুর নিশ্চয়ই সকল কথা জানিতে পারিয়াছেন। তঁহাদের ঐরূপ আচরণে সকলেই স্তম্ভিত হইয়া গেল। প্ৰকৃতিস্থ হইবার পর কেহ কেহ ঠাকুরকে উহার কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি একটু হাসিয়া বলিলেন “আমাদের ও একটা হ’য়ে গেল।” সেই দিন রাত্ৰে সকলে চলিয়া গেলে ঠাকুর তঁহাকে ডাকিয়া ‘জানি আমি তুমি মা’র কাজের জন্য এসেছি, সংসারে কখনই থাকিতে পরিবে না, কিন্তু আমি যতদিন আছি ততদিন আমার জন্য থাক”—এই বলিয়া হৃদয়ের আবেগে পুনরায় অশ্রী ত্যাগ করিতে লাগিলেন। প্রকৃত নিঃস্বাৰ্থ ভালবাসা কি ও তাহার স্মৃতি কত মধুর তাহা উপরি লিখিত ঘটনা হইতে পাঠক অনুমান করিয়া লইবেন। যে ভালবাসায় ভেদাভেদ থাকে না, যাহা পরকে আপন করিয়া লয়, যে আভাস পাইবেন। নরেন্দ্ৰ বলিতেন ‘ঠাকুরের এই ভালবাসাই