পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S OR স্বামী বিবেকানন্দ ২ Y R\89 নরেন্দ্র একবার পরমহংসদেবের নিকট ভক্তের ভগবদ বিশ্বাসকে ‘অন্ধ বিশ্বাস” বলিয়া নির্দেশ করায় তিনি তদুত্তরে বলেন—“বিশ্বাসের আবার অন্ধ কি করে ? বিশ্বাসমত্ৰেই ত অন্ধ । বিশ্বাসের কি ? আবার চোখ আছে নাকি ? হয় বল শুধু ‘বিশ্বাস” না হয় বল “জ্ঞান” । তা না হয়ে আবার ‘অন্ধ-বিশ্বাস’, চোখওয়ালা-“বিশ্বাস”-একি রকম৷ ” নরেন্দ্ৰ ধীরে ধীরে ক্রমশঃ বুঝিতে পারিলেন যে বই পড়িয়া বা পরের মুখে শুনিয়া যে জ্ঞান হয় তাহ ধৰ্ম্ম নহে। প্রকৃত ধৰ্ম্ম অনুভূতিসাপেক্ষ । ঈশ্বরকে দর্শন করা চাই, তাই তিনি ব্ৰাহ্ম মহর্ষি দেবীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন যে তিনি ঈশ্বর দেখিয়াছেন। কিনা। কারণ যদিও তিনি তৎপূৰ্ব্বে পরমহংসদেবের সাক্ষাৎকার লাভ করিয়াছিলেন, তথাপি তঁহকে, একজন ধৰ্ম্মোন্মাদ ব্যতীত আর বিশেষ কিছু মনে করিতে পারেন নাই। কিন্তু ব্ৰাহ্মসমাজ ও দেবেন্দ্ৰ, কেশবপ্রমুখ আচাৰ্য্যগণ তখন বাঙ্গলার নব্য যুবকগণের নেতা। নরেন্দ্র নিজেও ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ও নিরাকার ব্ৰহ্মোপাসনার পক্ষপাতী ছিলেন। দেবদেবী কিছুই মানিতেন না। কিন্তু পরমহংসদেবের নিকট যাতায়াত করিতে করিতে ঘুখন তঁহার ধারণা হইল যে, ঈশ্বর অনুভূতির গোচর, অথচ সেই ঈশ্বরানুভূতি সম্বন্ধে মহর্ষির নিকট হইতে তিনি কোন প্রকার আভাস প্ৰাপ্ত হইলেন না, তখন তিনি ধীরে ধীরে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের আশ্রয় ছাড়িয়া পরমহংদেবের চরণাশ্রয় করিলেন ও ধ্যান ধারণা, তপস্তা, বিবেক-বৈরাগ্য, বিচারসহায়তায় ও সৰ্ব্বোপরি অবতারকল্প সদগুরুর কৃপায়, ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বর লাভ ; এখানে পরমহংসদেবের শিক্ষায় ও তাহার জীবন্ত দৃষ্টাস্তে তিনি শেং, ঘাঁহার নিরাকার দুই-ই মানিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন,-ব্রহ্মও মানিতে খাপ্পাদি কালী, কৃষ্ণ, শিবও মানিতেন। এ বড় অদ্ভুত পরিবর্তন ! কিন্তু ত্র, কিন্তু সংগ্রামের ফলে সাধিত হইয়াছিল । এ সংগ্রামে দাড়াইয়াছিলেন-লোকগুলি