পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণচরণে SSS) মূৰ্দ্ধমান সনাতনধৰ্ম্ম ও অপরদিকে প্ৰত্যক্ষবাদী পাশ্চাত্য-শিক্ষাভিমানী ব্যতন্ত্র-এ দুয়ের সংঘর্ষে পরিশেষে কিন্তু সনাতনধৰ্ম্মেরই জয় হইল ! পরমহংসদেবের মহিমময় চরিত্রে যুবক নরেন্দ্র। এতদূর মোহিত হইলেন, যে পিতার মৃত্যুর পর সংসারের অনন্ত দুৰ্দশা, জননী ও ভাইভগিনীগুলির বিষাদকরুণ মুখচ্ছবি, অনশন, অদ্ধাশন কিছুই গ্ৰাহ না করিয়া দক্ষিণেশ্বরে ছুটিলেন। দারুণ দুঃখে হৃদয় জরজর, কিন্তু তথাপি যেন হৃদয়ের মধ্যে কাহার ডাক শুনিয়া তিনি স্থির থাকিতে পারিলেন না। পরমহংসদেব তাঁহাকে কালীঘরে গিয়া প্রার্থনা করিতে বলিলেন, কিন্তু তিনি ধনরত্নাদি প্রার্থনা না করিয়া তিন তিন বার শুধু জ্ঞান ভক্তিরই প্রার্থনা করিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি প্রথম প্রথম তিনি অদ্বৈতবাদ বুঝতে পারিতেন না । ‘আমিই ব্ৰহ্মস্বরূপ"-এরূপ মনে করা কি ঘোর অপরাধ ও স্পৰ্দ্ধা १. द्धि পরমহংসদেব তাহাকে কেবল অদ্বৈত প্ৰতিপাদক শাস্ত্ৰ গ্রন্থগুলি পাঠ করিতে উপদেশ দিতেন। অন্যান্য শিষ্যদিগকে তিনি সাধারণতঃ ভক্তিশাস্ত্ৰই পাঠ করিতে বলিতেন, কিন্তু তাঁহাকে বিশেষভাবে অষ্টবক্রসংহিতা প্রভৃতি অদ্বৈতমূলক গ্ৰন্থ অধ্যয়ন করিতে বলিয়াছিলেন, এবং তিনিও প্রথম প্রথম ঐ সকল গ্ৰন্থ স্বয়ং পাঠে অনিচ্ছুক থাকিলেও পরমহংসদেবের কথায় তাহার সম্মুখে পাঠ করিয়াছিলেন। ক্ৰমে ধীরে ধীরে জ্ঞান পরিস্ফুট হইলে তিনি বুঝিলেন, অদ্বৈততত্ত্বই চরম ও পরম সত্য এবং শ্ৰীরামকৃষ্ণদেব যেন বেদান্তাদি শাস্ত্রের জীবন্ত ভাষ্যস্বরূপ। ১৮৮৫ সালে "এইমালীম্পরের বাগানে পরমহংসদেবের পীড়ার সময় নরেন্দ্র এই সত্য লাভ ভজের পঞ্ছলেন। তিনি প্রথম হইতেই অনেকটা ‘দার্শনিক” ছিলেন, কিন্তু দরের সংস্পর্শে আসিয়া ‘ভক্ত হইয়া পড়িলেন। শেষে স্নাছিল যে, খোল করতাল লইয়া সঙ্কীৰ্ত্তন করিতেন ও হাত