পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণাচরণে । dod i ধারণা করিয়া সৰ্ব্বজীবে দয়া—”এই পৰ্যন্ত বলিয়াই তিনি সহসা সমাধিস্থ হইয়া পড়িলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে অন্ধবাহ অবস্থায় আসিয়া বলিতে । লাগিলেন—“জীবে দয়া !—দুর শাল! কীটায়ুকাট তুই জীবকে দয়া করবি ? দয়া করবার তুই কে ? না, না, জীবে দয়া নয়-শিবজ্ঞানে জীবের সেবা ।” লীলাপ্রসঙ্গকার বলেন, “ভাবাবিষ্ট ঠাকুরের ঐ কথা সকলে শুনিয়া যাইল বটে, কিন্তু উহার গুঢ় মৰ্ম্ম কেহই তখন বুঝিতে ও ধারণা করিতে পারিল না। একমাত্র নরেন্দ্রনাথই সেদিন ঠাকুরের ভাব ভঙ্গের পরে বাহিরে আসিয়া বলিলেন-“কি অদ্ভুত আলোকই আজ ঠাকুরের কথায় ? দেখিতে পাইলাম। শুষ্ক, কঠোর ও নিৰ্ম্মম বলিয়া প্ৰসিদ্ধ বেদান্ত জ্ঞানকে ভক্তির সহিত সম্মিলিত করিয়া কি সহজ, সরস ও মধুর আলোকই প্ৰদৰ্শন করিলেন। অদ্বৈতজ্ঞান লাভ করিতে হইলে সংসার ও লোকসঙ্গ সর্বতাে- ? ཙ་ཀྱི་ཤ་ করিয়া বনে যাইতে হইবে এবং उख्रि उांलतांना थड्रऊि, কোমল ভাবসমূহকে হৃদয় হইতে সবলে উৎপাটত করিয়া চিরকালের মত দূরে নিক্ষেপ করিতে হইবে-এই কথাই এতকাল, শুনিয়া আসিয়াছি। ফলে ঐ রূপে উহা লাভ করিতে যাইয়া জগৎসংসার ও তন্মধ্যগত প্ৰত্যেক ব্যক্তিকে ধৰ্ম্মপথের অন্তরায় জানিয়া, তাহাদিগের উপর ঘূণার উদয় হইয়া সাধকের বিপথে যাইবার বিশেষ সম্ভাবনা। কিন্তু ঠাকুর আজ ভাবাবেশে যাহা বললেনঃ তাহাতে বুঝা গেল, বনের বেদান্তকে ঘরে আসা যায়, সংসারের সকল কাজে উহাকে অবলম্বন করিতে পারা যায়। মানব যাহা । করিতেছে, সে সকলই করুক, তাঁহাতে ক্ষতি নাই, কেবল প্ৰাণের } সহিত এই কথা সৰ্ব্বাগ্রে বিশ্বাস ও ধারণা করিলেই হইল যে, ঈশ্বরই জীৱ { মুহূর্কে সে যাহাদিগের সম্পর্কে আসিতেছে, ঘাঁহাদিগকে ভালবাদিতেছে, ; : ঘাঁহাদিগকে শ্রদ্ধা, সম্মান, অথবা দয়া করিতেছে, তাহারা সকলেই তাঁহার