পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরাহনগর भर्ट প্ৰতিষ্ঠা বাগানের মিয়াদ উত্তীর্ণ হইবার সময় অচিরে আগত হইল। এখন আর রামকৃষ্ণদেব নাই—সুতরাং যাহারা বাগানের ভাড়া দিতেছিলেন র্তাহারা বাগান ছাড়িয়া দিবার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। এ অবস্থায় কি করা যায় সকলেরই মনে এই চিন্তার উদয় হইল। অনেক তর্কবিতর্ক হইল, কিন্তু কিছু সিদ্ধান্ত হইল না ; গৃহীদের মধ্যে অনেকেই সন্ন্যাসী শিষ্যদিগকে ভালবাসিতেন, তাহাদের কেহ কেহ বলিলেন, “উহারা যে সাধারণ সাধুদের ন্যায় ভিক্ষা করিয়া সুপ্রিয় বেড়াইবে তাহা হইতে পারে না। উহারা এখনও বালক। সারাজীবন পড়িয়া রহিয়াছে। উহাদিগের নিকট কত আশা ভরসা আছে। অতএব এদিক ওদিকই ভাসিয়া বেড়ান অপেক্ষা উহারা বরং গৃহে ফিরিয়া যাউক ।” কিন্তু সন্ন্যাসীরা এ প্ৰস্তাবে সম্মত হইলেন না। গৃহে ফিরিয়া যাওয়া ?--অসম্ভব। রামকৃষ্ণদেবের জীবদ্দশায় তঁহাদের কয়েকজন বি, এ, পরীক্ষা-দিবার জন্য প্ৰস্তুত হইতেছিলেন। তঁহাদের পিতা, অভিভাবক ও আত্মীয়গণ এক্ষণে বুঝাইতে লাগিলেন যে, বি, এ, পাশ করিয়া যাহা হয় করা উচিত। যদি তেঁাহারা সংসার না করিতে চাহেন তাহা হইলেও অন্ততঃ পাশটা করা উচিত, কারণ তাহাতে তাহদের মৰ্য্যাদা আরও বাড়িবে বই কমিবে না। এই ভাবের খুব পীড়াপীড়ি, প্রলোভন ও ভয়প্রদর্শন চলিতে লাগিল । বালকদিগের মধ্যে কেহ কেহ অনুরোধ এড়াইতে না পারিয়া পরীক্ষা দিতে বা পারিবারিক দ্ব্যাপার শেষ করিয়া আসিবার জন্য পুনরায় গৃহে গমন করিলেন। ইচ্ছ- ঐগুলি শেষ হইলেই সন্ন্যাসাশ্রমে প্রবেশ করিবেন।