পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YW-8 স্বামী বিবেকানন্দ S. 28 করিয়া ফেলিবে । তিনি প্রায়ই সন্ধ্যার প্রাক্কালে ধ্যানে বসিতেন এবং সমস্ত রাত্ৰি নিম্পন্দভাবে আত্মচিন্তায় মগ্ন থাকিতেন । সে সময়ে অপর কেহ তাহার নিকট যাইতে সাহস পাইত না। যতক্ষণ অন্ধকার থাকিত তিনি আসনত্যাগ করিয়া উঠিতেন না। অবশেষে যখন পূর্বদিক উষার অরুণরাগে রঞ্জিত হইয়া উঠিত তখন তিনি ধীরে ধীরে আসনত্যাগ করিয়া উঠতেন, সমস্ত রাত্রি একাগ্ৰতা সাধনের অদম্য চেষ্টায় তাহার চক্ষুদ্বয় রক্তবর্ণ ধারণ করিত, মুখমণ্ডল দিব্যভাবে পরিব্যাপ্ত ও প্রাণ অব্যক্ত পুলকে পরিপূর্ণ হইত। অন্যান্য সাধুরাও এই দৃষ্টান্তের অনুকরণে কঠোর সাধনে নিযুক্ত হহঁতেন, কিন্তু তথাপি তাহদের পিপাসা মিটিত না, প্রায়ই আক্ষেপ “করিয়া বলিতেন ‘হায় হায়! আমরা ঈশ্বরলাভের জন্য কিছুই করিতে পারিতেছি না।” । । • বাস্তবিক সে সময়ে মঠ-ভ্রাতারা দিবারাত্র ঠাকুরের ভাবে তন্ময় থাকিতেন। এমন দিন বা সময় ছিল না যে সময়ে তাহার স্মৃতি একেবারে। মন হইতে বিলুপ্ত হইয়াছে। যাহারা এ সময়ে মঠে যাতায়াত করিতেন, র্তাহারা এই সকল সাধুদিগের ক্রিয়াকলাপ প্ৰত্যক্ষ করিয়া বিস্ময়ে ভাবিতেন, "ইহারা কে ?-চক্ষুঃ হইতে যেন অগ্নিবর্ষণ হইতেছে, দেখিতে উন্মাদের মত !’ বাস্তবিকই ইহারা ঈশ্বরের জন্য উন্মাদ হন্ডুয়াছিলেন এবং সৰ্ব্ববিধ সাধনের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন। কেহ কেহ কয়েক প্রহর নিম্পন্দভাবে বসিয়া ভগবৎধ্যান করিতেছেন, কেহ বা অধ্যাত্মসঙ্গীত গাহিতে গাহিতে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হইয়া অন্তরে চিদানন্দসুখ অনুভব করিতেছেন। স্বামীজি নিজে যেমন এ সকল, বিষয়ে উদ্যোগী ছিলেন আর সকলকেও তেমনি উৎসাহ দিতেন। তঁর নিজের জীবনটা এমন একটা আদর্শস্বরূপ ছিল যে, তাহার সম্মুখে থাকিলে কেহই জড়বৎ বসিয়া থাকিতে পারিত না । সময়ে •