পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

уNebr. স্বামী বিবেকানন্দ \ \한 দেবীর পূজা প্ৰভৃতি বিষয়ে বহুল তৰ্ক-বিতর্ক, তুলনা ও সমালোচনা চ'লত। সকল প্রসঙ্গ, সকল আলোচনা পরিশেষে শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবে পরিসমাপ্ত হইত। নরেন্দ্রনাথ কথায় কথায় সম্পূর্ণ নূতন পথে গিয়া পড়িতেন ও সেখান হইতে দেখাইতেন, পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বৰ্ত্তমান হিন্দু জাতির উপর শ্ৰীরামকৃষ্ণের জীবন ও উপদেশের প্রভাব কতটা এবং সে প্রভাবের মূল্য কত। দেখাইতেন, যে ছিন্নমূল হিন্দু-ধৰ্ম্ম বাত্যাতাড়িত সমুদ্রবক্ষে কাণ্ডারবিহীন জীর্ণতরীর ন্যায় ক্ৰমাগত ভাসিয়া চলিতেছিল, ” পরমহংসদেবের চরণম্পর্শে সেই তরী এ যাত্ৰা রক্ষা পাইয়াছে ও গন্তব্যদিক নির্ণয়ে সমর্থ হইয়াছে। তিনি বলিতেন, “এমন দিন শীঘ্রই আসিবে যেদিন তোরা বুঝতে পারুবি যে, লুপ্তপ্রায় হিন্দুধৰ্ম্মকে বঁাচাইবার জন্য পরমহংসদেব কি করিয়াছেন।” এই সকল গুরুতর আলোচনার অবসরে মধ্যে মধ্যে “গুরুগীতা’, ‘মোহমুদগর’ বা ঐ জাতীয় অন্য কোন সংস্কৃত কবিতা আবৃত্তি বা ‘প্ৰসাদ সঙ্গীত’ কি ‘শ্ৰীকৃষ্ণ সঙ্গীত’ গান করা হইত । AO স্বদেশ বা সমাজ সম্বন্ধে কথা উঠিলে হয়ত কয়েকদিন তাহাতেই কাটিয়া যাইত। হিন্দুসমাজ ও হিন্দুসভ্যতার মূল কোথায়—সে সম্বন্ধে নরেন্দ্রনাথ একটী বেশ উদার ধারণা জন্মাইয়া দিতেন। কুরুক্ষেত্র-যুদ্ধের শ্ৰীকৃষ্ণ হইতে সম্রাট আকবর পর্য্যন্ত প্ৰত্যেক শক্তিশালী ভারতসন্তান কেমন করিয়া এদেশে জাতিগঠনের চেষ্টা করিয়াছেন ও তা হাতে । কিরূপে ধীরে ধীরে জাতীয়জীবন গঠিত ও পরিপুষ্ট হইয়াছে তাহা তিনি আধ্যাত্মিকতার দিক দিয়া অতি বিশদভাবে বুঝাইতেন। ভারতীয় সভ্যতার ঐক্য সম্বন্ধে তাঁহার ধারণা এরূপ দৃঢ় ছিল যে, অনেক সময় মুসলমানজাতীয় কোন লোককে সম্মুখে দেখিবা মাত্র শ্রদ্ধার সৃহিত অভিবাদন করিতেন। তঁহার মনে হইত, সে ব্যক্তিও ভারতীয় সভ্যতা