পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরাহনগর মঠে তপস্যা ১৭৩ * কখনও কখনও নরেন্দ্রনাথ মঠের ভ্রাতাগণের নিকট “সেণ্ট ফ্রান্সিস ও ‘সেন্ট ইগ্নেসিয়াস লয়োলা’র কাহিনী ও যে ভাবে ‘ফ্রান্সিস্কান’ ও “জেসুইট’ ধৰ্ম্মসম্প্রদায় গঠিত হইয়াছিল। তদূৰ্ববৃত্তান্ত সবিস্তারে বর্ণনা করিতেন। verifiki veNCF KF Iraq: “ĠimgPt3” ( limitation of Christ ) ifaqqis পুস্তকের ভাব তাহদের প্রাণে জাগাইয়া তুলিতেন। এই পুস্তকখানি এ সময়ে মঠের সকলেরই প্রিয় পাঠ্যগ্রন্থ ছিল, পরে উহার স্থান শ্ৰীমদভগবদগীতা অধিকার করে। ক্রমে ভগবদগীতার প্রতি তঁহাদের এতদূর অনুরক্তি জন্মিয়াছিল যে তাহার মধুরত্ব অপরকে আস্বাদন করাইবার জন্য র্তাহারা ভিক্ষা করিয়া ঐ গ্রন্থের কয়েকশত খণ্ড ক্রয় করিয়া সাধারণের মধ্যে বিতরণ করিয়াছিলেন । ঐ বৎসর ( ১৮৮৭ খৃঃ অঃ ) মঠে প্ৰথম শিবরাত্ৰি ব্ৰত অনুষ্ঠিত হয়। প্ৰভাতে গঙ্গামানান্তে সকলে নরেন্দ্রের নবরচিত “তাথৈয়া তাথৈয়া নাচে ভোলা|” গান ধরিলেন ; তারপর সারাদিন উপবাসে ও রাত্রিটা পূজা উপাসনায় কাটিয়া গেল। মধ্যে মধ্যে পূজাবকাশে নরেন্দ্রের ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় বক্তৃতা ও উপদেশ ও নৈশ-নীরবতা বিদীর্ণ করিয়া সকলের সমন্বরে “শিব গুরু” “শিবগুরু’ বা ‘হর হর বম্ রুম ধ্বনি ও সঙ্গে সঙ্গে বিষম নৃত্য । সকলেরই গাত্রে ভস্ম বিলোপন ও নয়নে বৈরাগ্যের অনলাভা।-সে এক অপূৰ্ব্ব দৃশ্য ! *. এই ভাবে বরাহনগরের মঠে দিন কাটিতেছিল। অনেক সময়ে আবার মােঠ একটি শব্দও শ্রুতিগোচর হইত না। চতুর্দিক নিস্তব্ধ, শুধু ৫. মাঝে মাঝে নরেন্দ্ৰকণ্ঠের মধুর ‘মা, মা ব্ৰহ্মময়ী’’ শব্দ সেই নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিত। কখন কখন সন্ধ্যার ধূসর অন্ধকারে একাকী বিশ্বতলে গান গাহিতে গাহিতে তিনি অন্তরের নিভৃততম রাজ্যে চলিয়া যাইতেন-বাহজগতের কোন ভাবই আর সেখানে প্ৰবেশলাভ করিতে পারিত না।