পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিতামাতার পরিচয় 、! দর্পণের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিয়াছিলেন “যা, আর্শিত নিজের চেহারাটা একবার দেখগে, তাহ’লেই বুঝাবি।” আর অধিক বলিবার প্রয়োজন হইল না । পুত্র পিতৃবাক্যের মৰ্ম্ম উপলব্ধি করিলেন । আর এক সময়ে নরেন্দ্ৰনাথ কোন একটী বিষয় লইয়া মাতার সহিত বাচসা করিয়া তাহাকে দুই একটী কটু কথা বলিয়া ছিলেন। শ্ৰীযুক্ত বিশ্বনাথ তাহাকে ঐজন্য তিরস্কার না করিয়া যে গৃহে নরেন্দ্র তাহার বয়স্তবর্গের সহিত উঠা বসা করিতেন, তাহার দ্বারের উপরিভাগে একখণ্ড কয়লা দ্বারা বড় বড় অক্ষরে লিখিয়া দিয়াছিলেন—“নরেন্দ্রবাবু, তাহার মাতাকে অন্য এই সকল কথা । বলিয়াছেন।” নরেন্দ্ৰনাথ ও র্তাহার বয়স্তবর্গ ঐ গৃহে প্ৰবেশ করিতে যাইলেই ঐ কথাগুলি তঁহাদের চক্ষে পড়িত এবং নরেন্দ্র। উহাতে । ! অনেকদিন পৰ্য্যন্ত নিজ অপরাধের জন্য যথেষ্ট লজ্জা ও সঙ্কোচ অনুভব ? ‘সংসারে কিরূপভাবে চলা উচিত’। এই সম্বন্ধে নরেন্দ্র একদিন পিতার পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি উত্তর দিয়াছিলেন “কখনও শ কোন বিষয়ে বিশ্বয়প্ৰকাশ <efits at ( Never show surprise) বােধ হয়। এই উপদেশানুসারে চলাতেই তিনি পরে স্বদেশে বিদেশে রাজার প্রাসূত্রে ও ভিখারীর পর্ণকুটীরে সর্বত্র সমভাবে বিচরণ করিতে? সমর্থ হইয়াছিলেন। বিশ্বনাথ-পত্নী ভূলেশ্বরীও সৰ্ব্বাংশে পতির অনুরূপা ভাৰ্য্যা ছিলেন। পতির ঘেরূপ রাজতুল্য প্রকৃতি-পত্নীও তেমনি। যাহারা ভুবনেশ্বরী মাতাকে লুধিয়াছেন, তাহারা সকলেই বলিয়া থাকেন যে, তাহার ন্যায় । রমণীরত্ব এ জগতে দুলৰ্ভ। তিনি বিশেষ বুদ্ধিমতী, কাৰ্য্যকুশলী, সুরূপ :