পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছয় বৎসর বয়সে নরেন্দ্রনাথ একখানি কোরা ধুতি পরিয়া কোমরে খাকের কলম ঝুলাইয়া মাদুর বগলে পাঠশালায় গেলেন। প্রথম যেদিন পাঠশালায় যান সেদিন সকালে বাটীর পুরোহিত আসিয়া মাটিতে রামখড়ির আঁখির কাটিয়া তাহাকে শিখাইলেন এটা ‘ক’ এটা, ‘খ’ । নরেন্দ্ৰও বলিলেন এটা ‘ক’-এটা ‘খ’ । কিন্তু দুই চার দিনের মধ্যেই এমন গুটিকতক অভিধান-বহির্ভূত ভাষা আয়ত্ব করিয়া ফেলিলেন যে পিতামাতা আর র্তাহাকেওক্কাপ শিক্ষালয়ে যাইতে দেওয়া যুক্তিযুক্ত: মনে করিলেন না। পাঠশালা ছাড়াইয়া এক গুরুমহাশয়ের উপর তাহার: শিক্ষার ভার সমৰ্পিত হইল। পাঠশালাটি কিন্তু নরেন্দ্রের বড় ভােলাঁ লাগিয়াছিল। অনেকগুলি সঙ্গী জুটিয়াছিল—তাহাদের সঙ্গে বসিয়া ভুষোর কালীতে তালপাতার উপর বিচিত্র রকমের লিখিবায় ছাদ অভ্যাস, করিতে বেশ আমোদ বোধ হইতেছিল। হঠাৎ এ সব ছাড়িয়া বাড়ীর গুরুমহাশয়ের শাসনটা প্রথম তাহার বরদাস্ত হইল না। কিন্তু তাহার, পিতা কতকগুলি আত্মীয় বালককে তাহার পড়ার সঙ্গী করিয়া দিলেন। বাড়ীতেই একটা ছোট-খাট পাঠশালার মত হইল। চিরদিন তিনি মিষ্টকথার বশ ছিলেন। কড়া কথা মোটে সন্থ করিতে পারিতেন না । বাল্যেও এ স্বভাব ছিল। গুরুমহাশয় চোখ রাঙাইয়া বা মারিয়া ধরিয়া তাহার নিকট পড়া আদায় করিতে পারিতেন। পোড়োদের মধ্যে তিনি শীঘ্রই দলপতির আসন অধিকার, করিলেনুস