পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ Sa tes খেলাধূলাতেও সকলের অগ্ৰণী । পৰ্ব্ব-উৎসবাদি হইলে পড়াশুনা বন্ধ করিয়া সমস্ত দিনরাত উৎসবের আমোদে মাতিয়া থাকিতেন। একবার মকর-সংক্রান্তির দিন সুর ধরিলেন সখিদের লইয়া দল বাঁধিয়া গঙ্গায় যাইতে ও গঙ্গাপূজা করিতে হইবে। পিতার অনুমতি পাইলেন এবং খরচওংখ্রষ্ঠ হইলটি তিনি সঙ্গী বালকদলকে লইয়া বাটী হইতে নিশান উড়াইয়া ফুলের মালা দুলাইয়া গঙ্গার দিকে চলিলেন, যেন একটা ছোটখাটাে শোভা-যাত্রা হইল। সারাপথ গাহিতে গাহিতে চলিলেন ‘জয় জয় সুরেশ্বরি ভগবাতি গঙ্গে’ । পরে গঙ্গায় পৌঁছিয়া ফুল ও ফুলের মালাগুলি ভক্তিভস্কেলিলস্রোতে নিক্ষেপ করিলেন। সন্ধ্যায় আবাব সকলে একত্ৰ হইয়া কলাব খোলাব ছোট ছোট নৌকায় দীপ জালাইয়া গঙ্গাবক্ষে ভাসাইয়া দিলেন ; সে কি সুন্দর দৃশ্য ! এরূপ শক্তি শত বালকদল সেদিন দীপালোকে গঙ্গাগৰ্ভ উজ্জল করিয়া ফুলিল। نجابي" শুনা যায়, নরেন্দ্রনাথের পড়া তৈয়াবী করিবার রীতি একটু মূৰ্তন ধরণের ছিল। গুরু মহাশয় প্রত্যেক দিনের পাঠ নিজে পঠিয়া যাইতেন-তখন নরেন্দ্র চক্ষু বুজিয়া গুইয়া থাকিত-তাহাতেই ঐ প্লািঠ আয়ত্ত হইয়া যাইত। রাত্ৰিতে নরেন্দ্ৰ এক প্ৰবীণ আত্মীয়ের ‘ষ্ট্রে রামদত্তের পিতা) নিকট শয়ন করিতেন। এই ব্যক্তির কিঞ্চিত সংস্কৃতি জানা ছিল এবং ইহার বিশ্বাস ছিল কঠিন কঠিন বিষয়গুলি ঝাড়ু হইতেই মুখস্থ করাইলে বালকদিগের শিক্ষা ཨཱ་ ঋষ্ট্রলিয় श्é কিয়দংশ মুখে মুখে শিক্ষা দিতেন। তাহার শিক্ষার গুণে নািরক্স, বৎসরাবধি কালের মধ্যে উক্ত পুস্তকের অধিকাংশ আয়ত্ত কৃষ্ট্রি ফেলিলেন । তখন তঁহার বয়স ছয় সাত ঘর্ষ মাত্র । ” 意‘ বাল্যকাল হইতেই তাহার হৃদয়ে নেতৃত্বের অন্ধুর দেখা দিগ্নাছিল।