পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষারম্ভ RGRʻ ১৮৬৯ সালে তদানীন্তন দত্তবংশের কৰ্ত্ত নরেন্দ্রের পিতামহ স্থানীয় কালীপ্রসাদ দত্ত মৃত্যুশয্যায় শায়িত ; শেষ মুহূৰ্ত্ত আগত প্ৰায় জানিয়া তিনি পরিবারস্থ সকলকেই তাহার নিকট আহবান করিলেন এবং বালক বালিকাদিগের মধ্যে যে কেহ হউক তঁহাকে একটু মহাভারত পাঠ করিয়া শুনাক এই ইচ্ছা প্ৰকাশ করিলেন । কিন্তু লজ্জাবশতঃ যখন কেহই একাৰ্য্যে অগ্রসর হইল না, তখন ষষ্ঠবষীয় বালক নরেন্দ্র বুদ্ধের অন্তিম ইচ্ছা অপূর্ণ রাখিতে নিতান্ত অসম্মত হইয়া গম্ভীরভাবে সেই বৃহদাকার পুস্তকথানি দুইহন্তে উঠাইয়া ধরিলেন এবং ধীর স্থির পরিষ্কার উচ্চকণ্ঠে কয়েক পত্র পাঠ করিয়া ফেলিলেন। মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে অতীন্দ্ৰিয় লোকের সান্নিধ্যে প্রসারিত-দৃষ্টি বৃদ্ধ এই কয়েকটি কথা বলিয়া প্ৰাণবায়ু ত্যাগ করিলেন “ভাই, কালে তুই, নিশ্চয়ই মন্ত লোক হবি ।” বালকের সেই উজ্জল ভবিষ্যতের যে চিত্র বৃদ্ধের চক্ষে ভাসিয়া উঠিয়াছিল পাঠক দেখিবেন তাহা মিথ্যা হয় নাই । বাল্যে সাহস ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বেরও বীজ তাঁহাতে দেখা গিয়াছিল। ছয় বৎসর বয়সের সময় একবার তিনি একজন সঙ্গীকে লইয়া চড়ক দেখিতে যান। চড়কতলা হইতে মাটির মহাদেব কিনিয়া উভয়ে গৃহে ফিরিতেছিলেন। সঙ্গীটি কতকাদূর আসিয়া পিছাইয়া পড়িল । তখন প্ৰায় অন্ধকার হইয়া গিয়াছে। এমন সময় একটা ঘোড়ার গাড়ী দ্রুতবেগে সেই দিকে আসিল । গাড়ীর শব্দে নরেন্দ্ৰ পিছন ফিরিয়া দেখিলেন যে সঙ্গের ছেলেটি একেবারে প্রায় ঘোড়ার পায়ের তলায়। বাম হস্তের মধ্যে মহাদেবটি পুরিয়া তিনি তৎক্ষণাৎ দিগ্বিদিগঙ্গানশূন্য হইয়া সঙ্গীর জীবনরক্ষার্থ ধাবিত হইলেন। পথের লোকেরা বিস্ময়বিমুগ্ধনেত্রে এই দৃশ্য দেখিতেছিলেন। ঘটনাটি এত অল্প সময়ের মধ্যে