পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যালয়ে 8) লেডুকা লোগাকো উতাবৃনে দেও, নেহী তো মারি ডালেগা ।” তখন *আচ্ছা সাহেব, বহুত আচ্ছা সাহেব, আভি সাহেব’ বলিতে বলিতে তখনই ঘাটে নৌকা ভিড়াইল ও আর সকলে ভয়ে যে যাহার নৌকায় সরিয়া পড়িল। নরেন্দ্ৰনাথের ব্যবহারে : সৈন্যিকদ্বয় সেদিন এরূপ প্রীত হইয়াছিল যে, তঁাহাকে তাহদের সহিত থিয়েটার দেখিতে যাইবার জন্য আহবান করিয়াছিলেন । কিন্তু তিনি ধন্যবাদের সহিত তাহদের প্রস্তাবে অসম্মতি জানাইয়া কৃতজ্ঞতাপূর্ণ হৃদয়ে বিদায় গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । নরেন্দ্ৰনাথের সাহসের পরিচয়স্বরূপ তাহার বাল্যজীবনের আরও দুই একটি ঘটনা। এখানে উদ্ধত করা যাইতে পারে। ভূতপূৰ্ব সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড যে বৎসর প্রিন্স অব ওয়েলুদা-রূপে ভারতভ্রমণে আগমন করেন। সেই বৎসর কলিকাতা বন্দরে বিলাত হইতে ‘সিরাপিস নামক ‘ড্রেড নটু” জাতীয় একটা বড় মানোয়ারী জাহাজ আসিয়াছিল। তখন নরেন্দ্রের বয়স ১১ বৎসর। নরেন্দ্রের সঙ্গীরা ধরিয়া বসিল যে ঐ যুদ্ধের জাহাজখানা দেখিয়া আসিতে হইবে। জাহাজ দেখিতে হইলে বন্দরের বড় সাহেবের পাশ চাই, কিন্তু নরেন্দ্ৰ কিছুতেই পশ্চাৎপদ নহেন, তিনি চৌরঙ্গীতে বড় সাহেবের আফিসে গেলেন। সেখানকার চাপরাশী তাহাকে ক্ষুদ্র বালক দেখিয়া তাচ্ছিল্য করিয়া বলিল ‘স’রে পড় না। এখান থেকে, আঁতটুকু মানুষ আবার সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে ! - লড়ায়ের জাহাজ দেখতে যাবে :- পালাঃ !” তাহার এবস্তপ্ৰকার সম্ভাষণে নরেন্দ্র প্রথমে একটু থিতামত খাইলেন, কিন্তু সে এক মুহূৰ্ত্তের জন্য। পরীক্ষণেই তাহার, ললাট উজ্জল হইয়া উঠিল। দেখিলেন পিছন দিকে একটা লোহার সরু সিঁড়ি রহিয়াছে। মনে হইল ঐখান দিয়া বোধ হয় বড় সাহেবের কামরায় যাওয়া যায়। যেমন মনে