ତଦ୍ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান । কালের ব্যতিক্রম হয়। কেহ বা একাহার করিয়া বেশ সুস্থ থাকে। অনেক নিয়ম অভ্যাসবশতঃ স্বাস্থ্যকর হইয়া পড়ে । কেবল এইমাত্র বলা যাইতে পারে যে পাক যন্ত্রগুলিকে পুনঃ পুনঃ উৎপীড়ন করা অনুচিত । ৪ ঘণ্টায় পাকক্রিয়া সমাধা হয় ; আরও ২ ঘণ্টাকাল পাকস্থলীকে বিশ্রাম দেওয়া কৰ্ত্তব্য। সাধারণতঃ ৬ ঘণ্টা অন্তর ৩ বার আহার করিলে চলে। র্যাহারা সকালে একবার ও বিকালে একবার এবং রাত্রে অল্প কিছু আহার করেন। তঁহাদের ৩ ভাগ আহার সকালে, ৪ ভাগ বিকালে, ও ২ ভাগ রাত্রে সম্পন্ন হওয়া উচিত। র্যাহারা বিকালে আহার না করিয়া রাত্রে করেন, তাহদের ৩ ভাগ আহার সকালে, ২ ভাগ অপরাহ্নে ও ৪ ভাগ রাত্রে হইলেই ভাল । ৪ । বিকৃত খাদ্য ভোজন বশতঃ যে সমুদয় রোগ জন্মে তাহ খাদ্যের বিশেষ বিবরণ বিষয়ক অধ্যায়ে বিবৃত হইয়াছে। ৫ । পাকশক্তিহীন অবস্থায় ভোজন করিলে অজীর্ণতা, ডায়েরিয়া, ডিসেণ্টী প্রভৃতি রোগ হয়। কাহারও কাহারও খাদ্য বিশেষ কখনই পরিপাক হয় না । কাহারও বা সকালে কোন খাদ্য জীর্ণ হয়, বিকালে হয় না । আবার চিন্তা ভয় ক্ৰোধাক্ৰান্ত অবস্থায় আহার করিলে অপাক দোষ জন্মে । অষ্টম পরিচ্ছেদ । আহার সম্বন্ধে সাধারণ নিয়ম । ১ । আহারের সময় চিন্তা ক্ৰোধ প্ৰভৃতি পরিহার করিবে । ২ । সন্তোষ পূৰ্ব্বক আহার করিবে । ৩ । ত্ৰস্ত আহার না করিয়া ভালরূপ। চর্বণ করিবে। আফিস ও স্কুলে সত্বর গমনার্থ অনেকে ত্ৰস্ত আহার করিয়া চিরকাল অজীর্ণতা রোগে কষ্টভোগ করে । ৪ । প্রথমতঃ তরল দ্রব্য ভোজন করিবে । শুষ্ক গলায় কঠিন দ্রব্য
পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।