আহারের সাধারণ নিয়ম । S\9 অধঃকরণ করিলে স্প্যাজম (spasm) হইতে পারে। অন্য সমুদয় মাংসপেশীর ন্যায় পাকস্থলীর মাংসপেশী পরিশ্রমান্তে দুর্বল হইয়া পড়ে, এবং তথা হইতে পাকারসসমূহ নিঃস্থত হয় না ; এই কারণেও প্রথমতঃ লঘুপাক তরল দ্রব্য আহার করা উচিত । ৫ । ভোজনের সময় অতিরিক্ত জল পান করিবে না। অধিক ডাইলুশন বশতঃ পাকরস সমূহ শক্তিহীন হয়। ৬। অতি উষ্ণ বা অতি শীতল ভোজন করিবে না । ৭ । অপরিমিত ভোজন করিবে না । ৮ । নিরূপিত সময়ে আহার করিবে । ৯ । অপুষ্টিকর, অপাচ্য ও বিকৃত খাদ্য ভোজন করিবে না। ১০ । সময়ে সময়ে খাদ্য পরিবর্তন করিবে । ১১ । কাহারও উচ্ছিষ্ট ভোজন করিবে না। লালারিসে নানাপ্রকার ংক্ৰামক রোগের বীজ থাকিতে পারে । ১২। পরিষ্কৃত, জলধৌত ও বায়ু-সঞ্চালিত স্থানে বসিয়া আহার করিবে। বায়ুতাড়িত ধূলির সঙ্গে রোগ-বীজ। উদরে প্রবেশ করিতে পারে। ১৩ । আহার স্থানের নিকটে অধৌত পাদুকা। রাখিবে না। পাদুকালগ্ন রোগবীজ ধূলিমিশ্রিত ও বায়ুতাড়িত হইয়া খাদ্যের সহিত মিশ্রিত হইতে পারে । ১৪ । আহারের অব্যবহিত পরে কোন প্রকার পরিশ্রম বা গভীর চিন্তা, স্নান বা নিদ্রা করিবে না। পাকক্রিয়ার সময় পাকস্থলীতে রক্ত অধিক সঞ্চালিত হয়। সুতরাং মস্তিষ্ক কিম্বা অন্য কোন যন্ত্রে রক্ত ধাবিত হইলে পাকস্থলীর রক্ত-সঞ্চালনের হাস হয় ও তন্নিবন্ধন পাকক্রিয়ার ব্যাঘ্যাত হয়। নিদ্রার সময় রক্ত সঞ্চালন মন্দীভূত ও পাকক্রিয়া বিলম্বে সাধিত হয়।
পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।