সুয়ার প্রণালীর গুণাগুণ । Nò, o VSD কৱিতে পারে। কিন্তু সুয়ার যদি সাবধানে গঠিত ও রক্ষিত হয়, তাহা হইলে, সাধারণ স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং টাইফয়েড জ্বরাদি-জনিত মৃত্যু সংখ্যার হাস৷ হয় । পুরাকালের “কুয়া পায়খানা” এবং “ডোবা পায়খানার” সহিত বর্তমান “সুয়ার” প্ৰণালীর তুলনায় উপরোক্ত মত ধাৰ্য্য হুইয়াছে ; শুষ্ক প্রণালীর সহিত হুয়ার প্রণালীর তুলনা করিয়া স্বাস্থ্যের উন্নতি অবনতি লক্ষ্য করা হয় নাই ; সুতরাং সুয়ার প্রণালী সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ কি না। এই কথা ডাক্তার পার্কস । বলিতে পারেন না । এইদেশে এখনও মত প্ৰকাশ করিবার সময় হয় নাই । কলিকাতার স্বাস্থ্যরক্ষক ডাক্তার সিমসন বলেন, সুয়ার-নিঃসৃত মল ও গ্যাস দ্বারা ভূমি দূষিত হইতেছে এবং এই কারণবশতঃ কলিকাতায় জারজনিত মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধি হইতেছে। এদেশের যে সমুদায় স্থানের মৃত্তিকা য়্যালুভিয়েল, সে সমুদয় স্থানে ড়েণের নল “দমিয়া” যাওয়াতে যোড়া খসিয়া যাইতে পারে, এবং যোড়ার ভিতর দিয়া গ্যাস নিৰ্গত হইতে পারে। সুয়ারের সমুদয় ময়লা একত্রিত হইয়া নগর এবং নদী হইতে দুরে গিয়া নির্বিঘ্নে পতিত হইতে পারে এমন একটা প্রশস্ত নিম্নভূমি বা আউট ফল (outfall) চাই ; সেই ভূমি এত নিম্ন হওয়া আবশ্যক যাহাতে সুয়ার ক্রমশঃ ঐ ভূমির দিকে ঢালু ভাবে নিৰ্ম্মিত হইতে পারে। এই সমুদয় সুযোগ না থাকিলে সুয়ার প্রণালী প্ৰবৰ্ত্তন করা অনুচিত। বৃষ্টিজল ও ময়লা জল নিঃসরণের পৃথক ব্যবস্থা “সেপারেট সিষ্টেমূ” (separate system) বা “পৃথক ব্যবস্থা” নামে অভিহিত । উভয় প্রকার জল কলিকাতার হারাজ নিঃসরণের এক প্রকার ব্যবস্থার নাম “কম্বাইণ্ড সিষ্টেম” প্ৰণালীর দোষ । (combined system) i “ffèv5 Ug lo sfa কাতায় “কম্বাইণ্ড সিষ্টেম” প্রচলিত। এই জন্য অধিক বৃষ্টির পর অতিরিক্ত জল সঞ্চিত হইয়া সুয়ার অবরুদ্ধ করে। সুয়ারের পাঁচটা মুখ গঙ্গার দিকে ও একটা মুখ সন্ট ওয়াটার লেকের দিকে । গঙ্গায় ও সমুদ্রে জোয়ারের সময় এই মুখগুলি রুদ্ধ হইয়া যায় ; সুতরাং অতিবৃষ্ট্রির সময় সুয়ারের ময়লা-স্রোত উপরিস্থিত “ম্যানহোল” (man hole) নামক ছিদ্ৰ দিয়া রাজপথে উত্থিত হয় । কলিকাতার স্বয়ার ক্রমশঃ ঢালু নহে, এই জন্য ময়লা দমকল দ্বারা উৰ্দ্ধে তুলিয়া
পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।