SGS সাধারণ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান । অভিজ্ঞ ব্যক্তির এই ধারণা। লায়েট (Layet) এ বিষয়ে অনেক অনুসন্ধান করিয়াছেন ; তিনি বলেন ৬-৮ বৎসর বয়সে (স্কুল প্রবেশের কাল ) একবার, ১৪-১৬ বৎসরে ( কলেজ প্রবেশের কাল ) একবার, এবং ২১-২৫ বৎসরে ( কলেজ পরিত্যাগের কাল ) একবার রী-ভ্যাক সিনেশন নিতে আইনতঃ বাধ্য করা উচিত। ইংরাজী টীকার সপক্ষে বৈজ্ঞানিক যুক্তি কি ? পুনরাক্রমণ হইতে নিস্কৃতি বা ইমিউনিটি সম্বন্ধে “ফাগোসাঁইটোসিস থিওরি” প্রভৃতি যে সমুদয় যুক্তির উল্লেখ করা গিয়াছে,ভ্যাকসিনেশন সম্বন্ধে ও তাহা প্রয়োগ ইংরাজী টীকার সপক্ষে বৈজ্ঞানিক যুক্তি, করা যায়। এতদ্ভিন্ন আর একটা মত আছে। জেনার বলেন গো-বসন্ত ক্ষেত্রাস্তরে নৃ-বসন্তের রূপান্তর মাত্ৰ ; অর্থাৎ উভয় রোগই এক, কেবলমাত্র মাত্রা ও তেজের প্রভেদ ; সুতরাং গো-বসন্তের বিষ শরীরে একবার প্রবেশ করিয়া, গো-বসন্ত উৎপাদনা করিলে, তৎপর নৃ-বসন্তের বিষ দ্বারা আক্রান্ত হইবার সম্ভাবনা থাকে না । সম্প্রতি ক্রুকশ্যাঙ্ক এই মতের প্রতিবাদ করিয়াছেন। কিন্তু মান্দ্ৰাজে কিং, ও কলিকাতায় সিমসন, নৃ-বসন্তের বীজ দ্বারা গো-বৎসে গো-বসন্ত উৎপাদনা করিয়া এবং সেই গো-বৎসের বীজ দ্বারা নরদেহে গো-বসন্ত উৎপাদনা করিয়া জেনারের মত পুনপ্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। ক্রুকশ্যাঙ্ক বলেন এই প্রকার বীজে টীকা দিলে গো-বসন্ত না হইয়া নৃ-বসন্ত হয়, অথবা ইহার তেজ এত ক্ষীণ হয় যে এইরূপ টীকা দ্বারা বসন্তের পুনরাক্রমণ নিবারিত হয় না । ডাক্তার সিমসনের বীজ দ্বারা আমি বহু লোকের টীকা দিয়াছি, কিন্তু কখনও কাহারও শরীরে বসন্তের ইরপশন নিৰ্গত হইতে দেখি নাই ; উক্ত বীজে যাহাদিগকে গত তিন বৎসর হইতে টীকা দেওয়া হইয়াছে,তাহাঁদের কেহই গত বৎসর এপিডেমিকের সময় বসন্তাক্রান্ত হইয়াছে বলিয়া জানি না । টীকা-বিরোধ বা য়্যান্টি virt{F soï(Floir (anti-vaccination) —টীকা বিরোধী বা য়্যাণ্টি ভ্যাক সিনেশ্যনিষ্ট দিগকে দুইটী দলে বিভক্ত করা যায়, রাজনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক । রাজনৈতিক দলের প্রধান তর্ক স্বাধীনতা লইয়া। তঁহারা বলেন, বলপূর্বক টীকা দেওয়া আর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা একই কথা । কিন্তু বহুলোকের জীবন মরণ সমস্যাস্থলে স্বাধীনতার
পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।