Σ\υ ο সাধারণ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ৷ বিস্তৃতি eiti (mode of zz%agation)-রোগীর গাত্র, পূয, মামড়ী বা স্ক্যাবি (scab) ও মল মূত্ৰাদি ডিশচার্জে, এবং নিকটস্থ বায়ু ও শয্যা বস্ত্ৰাদিতে সংক্ৰামক বিষ বিদ্যমান। চিকিৎসক, পরিচারক, কিম্বা বন্ধু বান্ধবদিগের বস্ত্রে ঐ বিষ সংলগ্ন হইয়া স্থান হইতে স্থানান্তরে সংক্রামিত হয় ; অথচ তাহাদের কেহই জানিতে পারে না যে তাহারাই রোগের বীজ ছড়াইয়া বেড়াইতেছে। ধোপা, দরজী ও বস্ত্রব্যবসায়ীর গৃহে বসন্ত রোগ আবিৰ্ভত হইলে, তাহাদের বস্ত্ৰে সংক্ৰামক বিষ সংলগ্ন হয়। দুগ্ধ কিম্বা খাদ্য বিক্রেতাদের দ্বারাও এইরূপে রোগ সংক্রামিত হইয়া থাকে। একদা এক বস্তা চিনি বিক্রয়ার্থ স্থানান্তরে প্রেরিত হয়। সেই বস্তায় বসন্ত রোগীর স্ক্যাব ছিল। ঐ চিনি ব্যবহার করিয়া অনেকে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হইয়াছিল। বাজার প্রভৃতি লোক সমাগমের স্থান রোগ বিস্তার করিবার একটি প্রধান উপায় । মক্ষিকা দ্বারা এই রোগ অনেকদূর পর্য্যন্ত ব্যাপ্ত হইতে পারে। গত বৎসরের কলিকাতার বসন্ত এপিডেমিকের মূল একজন ছাগবিক্রেতা। সে রুগ্ন। অবস্থায় কালীঘাটে ছাগ বিক্রয় করিতে আসে ; সেই সময়ে তথায় যাত্রীর ভিড় ছিল। যাত্রীদের মধ্যে কেহ কেহ ঐ ছাগ বিক্রেতার সংস্পর্শে আসিয়া রোগাক্ৰান্ত হয়, অথবা রোগ বীজ গ্রহণ ও বহন করে, ডাক্তার সিমসনের এই ধারণা। অনেক বেশ্যালয় হইতেও এই রোগ ব্যাপ্ত হইয়া থাকে। মৃতদেহবিহীন রোগ বিস্তৃতির আর একটী কারণ । কলিকাতায় মুসলমানদের মধ্যে একটা শালাবৃত কাষ্ঠ “কফিনে” শব বহনের প্রথা আছে। শব সমাধির পর সেই “কফিন” মসজিদে আনিয়া রাখা হয়। সেই “কফিন”ই সকলে ব্যবহার করিয়া থাকে। হিন্দুদের মধ্যে আরোগ্যের পর রোগীর বস্ত্ৰাদি গঙ্গায় ভাসাইবার প্রথা আছে। মূখ্য দেশীয় টাকাদার ব্ৰাহ্মণদের দোষেও অনেক সময় রোগ ব্যাপ্ত হয়। রোগীর স্ক্যাব সমস্ত পড়িয়া যাউক আর না। যাউক, সমস্ত ক্ষত শুষ্ক হউক আর না হউক, তাহারা ২১ দিনে কিম্বা ১৪ দিনে রোগীর আরোগ্য স্নানের ব্যবস্থা করিবেই করিবে। রোগীগণ এইরূপে স্বীয় আরোগ্য কল্পনা করিয়া স্বচ্ছন্দে ইতস্ততঃ বিহার এবং চতুর্দিকে রোগ বিস্তার করে । গৰ্ভস্থ শিশুতেও এ রোগ সংক্রামিত হয়। লক্ষণ-ইনকুবেশন পিরিয়ড় ১২ দিন। ইনিসিয়েটিভ ষ্টেজ,
পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।