○○○ সাধারণ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান । এক जाई९ि কাজ -এক প্রকার ব্যাসিলাস । ইদুর প্রভৃতি জীবের চৰ্ম্মের নীচে ব্যাসিলাস পূর্ণ বাগান স্মৃত্তিকা প্রবেশ করাইয়া, ধনুষ্টঙ্কার রোগীর ক্ষত স্থানের অংশ গীনিপিগের চৰ্ম্মের নিম্নে প্রবেশ করাইয়া, এবং ধনুষ্টঙ্কারগ্ৰস্ত নবজাত শিশুর নাভিদেশের কিঞ্চিৎ টিংগু লইয়া কোন জীবের চৰ্ম্মের নিম্নে প্ৰবেশ করাইয়া, ধনুষ্টঙ্কার রোগ উৎপাদন করা হইয়াছে। ঐ ব্যাসিলাস । হইতে টেটেনিন নামক বিষ পৃথক করিয়া জীবদেহে প্ৰবেশ করাইলে টেটেনাস জন্মে। এক ব্যক্তি একটা কাষ্ঠখণ্ডে বিদ্ধ হইয়া ধনুষ্টঙ্কারে আক্রান্ত হয় এবং ঐ রোগেই তাহার মৃত্যু হয়। তাহার স্ত্রী অতি যত্ন পূর্বক ২॥০ বৎসর পৰ্যন্ত ঐ কাষ্ঠখণ্ড রাখিয়াছিল। ঐ কাষ্ঠখণ্ডে জীবদেহ বিদ্ধ করিয়া এত দীর্ঘকাল পরেও ধনুষ্টঙ্কার উৎপাদন করা হইয়াছিল। গ্রানিউলেশনের (granulation) প্রারম্ভিাবস্থায় ক্ষতস্থান ব্যাসিলাস কর্তৃক আক্ৰান্ত হয় ; কিন্তু গ্রানিউলেশন যে সময় সতেজভাবে বৰ্দ্ধিত (actively granulating) হইতে থাকে, তখন ক্ষতস্থানে ব্যাসিলাস প্রবেশ করিবার সম্ভাবনা বড় থাকে না । এই ব্যাসিলাস ধনুষ্টঙ্কার রোগীর ক্ষতস্থানে, বাসস্থানের ধূলায়, ভূমির উপরিভাগে, রাস্তার অপরিষ্কার স্থানে, অশ্ববিষ্ঠায় বা অশ্ববিষ্ঠামিশ্রিত বাগানমৃত্তিকায় পাওয়া যায়। অনেক সময়ে ডাক্তারদিগের অস্ত্ৰ কিম্বা ধাত্রীদের কাঁচি হইতে এই রোগ সংক্রামিত হয়। একটি ইক্ৰেজার (ecraseur) দ্বারা অনেকগুলি অশ্বকে নপুংসক করা হয় ; ঐ সমুদয় অশ্বের টেটেনাস্ রোগে মৃত্যু হয়। কিন্তু ফুটন্ত তৈলে ঐ অস্ত্ৰ তপ্ত করিয়া ব্যবহার করিবার পর হইতে কোন অশ্বের ঐ রোগ হয় নাই । কলিকাতার কোন সম্রান্ত ব্যক্তির গৃহে প্রতিবৎসর একটী শিশু জন্মগ্রহণ করিয়া পঞ্চম দিবসে ধনুষ্টঙ্কারাক্রান্ত হইত এবং ষষ্ঠ দিবসে মানবলীলা সম্বরণ করিত। যদবধি আমি সুতিকাগার উত্তমরূপে ডিসাইনফেক্ট করিতেছি এবং শিশুর অম্বিলাইকেল ক’ড (umbillical cord) ফুটন্ত জলে তপ্ত কাচি দ্বারা কাটিয়া, ষ্টিরিলাইজড কটন (sterilized cotton) \g Rig gèù vC3C1 fr72 ferr (linen steeped in boiling sweet oil ) দ্বারা ব্যাণ্ডেজ করিতেছি, তদবধি একটা শিশুরও ধনুষ্টঙ্কার হয় নাই। এই ত গেল টামেটিক টেটেনাসের (traumatic tetanus ) কথা ।
পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।