কলেরা নিবারণ । brరి করিতে পারে এবং যাহার অভ্যন্তরস্থ সব সয়েল ওয়াটার অত্যন্ত হ্রাস বৃদ্ধিশীল, সেই সিক্ত ভূমিতে পচনশীল অর্গানিক পদাৰ্থ সংযোগে কলেরা-বীজ বৰ্দ্ধিত হইয়া নিকটস্থ জল ও বায়ু দূষিত করে। সেই দুষিত জল ও বায়ু ংযোগে কলেরা-বীজ দেহে প্ৰবেশ করে। পেটেন্যুকাফার বলেন, যে সময় সব সায়েল ওয়াটার বৰ্দ্ধিত হইয়া হ্রাস প্ৰাপ্ত হইতে থাকে, সেই সময় কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এই মত প্রমাণ সাপেক্ষ। লুইস ও কনিংহাম বলেন, যে সময় সব সয়েল ওয়াটার অতিশয় হ্রাস প্রাপ্ত হয়, সেই সময়েই কলেরার বৃদ্ধি হয়। কলিকাতায় মাচ ও এপ্রিল মাসে ওলাউঠার অতিশয় বৃদ্ধি হয় এবং মে মাসে হ্রাস হয়, অথচ মে মাসে সব সয়েল ওয়াটার অত্যন্ত হাস প্রাপ্ত হয়। সুতরাং কনিংহামের মত অগ্রামাণ্য। বৃষ্টির সঙ্গে কলেরার কিঞ্চিৎ সম্বন্ধ আছে। অধিক বৃষ্টির পর এই রোগের হাস হয়, কিন্তু অল্প বৃষ্টিতে ইহার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। অল্প বৃষ্টির স্রোতে ভূপৃষ্ঠস্থ ময়লা ধৌত হইয়া অৰ্দ্ধ শুষ্ক পুষ্করিণী কুপ প্রভৃতিতে পতিত হয় ; সেই দুষিত জল পানে রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। রোগী কনভেলেসেণ্ট অবস্থায়ও রোগ বিস্তার করিতে পারে ; রিয়্যাকশন ষ্টেজে কলাৰ্ড ষ্টলেও কমা-ব্যাসিলাস প্রাপ্ত হওয়া যায়। রোগীর মল-দূষিত বস্ত্ৰ দ্বারা কখনও কখনও রোগ ব্যাপ্ত হয়। কেহ কেহ বলেন, কলেরা-সংস্পৃষ্ট ব্যক্তি রোগাক্ৰান্ত না। হইলেও রোগ বিস্তার করিতে পারে । এ বিষয়ে বিশেষ প্ৰমাণ পাওয়া যায়। নাই। মক্ষিকা দ্বারাও কখনও কখনও রোগ ব্যাপ্ত হয়। গয়া জেলে কলেরা এপিডেমিকের সময় মক্ষিকার দৌরাত্মা লক্ষিত হইয়াছিল। বন্দীদের দুগ্ধের উপর মক্ষিক দল বসিত। ঐ দুগ্ধে কমা-ব্যাসিলাস পাওয়া গিয়াছিল। নিবারণ প্ৰণালী –(১) গৃহে কলেরার আবির্ভাবমাত্র স্বাস্থ্যরক্ষকের স্তু তদভাবে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্ৰহণ করিবে । (২) সাধ্যমত রোগীকে হাসপাতালে পাঠাইতে চেষ্টা করিবে । (৩) হাসপাতালে প্রেরণ অসম্ভব হইলে, রোগীকে একটি স্বতন্ত্র গৃহে রাখিবে । সেই গৃহে কেবল কলেরা-টীকা প্রাপ্ত শুশ্রুষাকারীগণ থাকিতে পারে। সুবিধা থাকিলে শিশুদিগকে অন্যত্র প্রেরণ করা উচিত। রোগীর ব্যবহারের জন্য স্বতন্ত্র এক প্ৰস্থ তৈজস পত্র রাখিতে হইবে ।
পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/২১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।