পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه الرع এলিজাবেথের সময় বিলাতে বসন্ত মহামারী প্রভৃতি ভীষণ রোগে জনপদ উৎসন্ন প্রায় হইত এবং কুষ্ঠ ম্যালেরিয়া প্রভৃতি রোগে বহুলোক অশেষ যন্ত্রণা ভোগ করিত। কিন্তু এখন পরম শ্ৰদ্ধেয়া মহারাণী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বে নানাবিধ স্বাস্থ্যবিধির প্রবর্তন বশতঃ মহামারী প্রভৃতি তিরোহিত এবং কুণ্ঠ ম্যালেরিয়া প্রায় দৃষ্টিপাথের অতীত হইয়াছে। বিগত ২৫ বৎসরের মধ্যে কলিকাতার খাদ্য ও পানীয় প্রভৃতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ স্বাস্থ্যের এত উন্নতি হইয়াছে যে ১৮৬৫ সালে কলিকাতাবাসীর প্রত্যেক সহস্রের মধ্যে ৫৪ জন মরিয়াছিল, কিন্তু ১৮৯০ সালে প্রতি সহস্ৰে ২৬ জন মরিয়াছে। ১৮৫৭ সাল পৰ্যন্ত ভারতীয় ব্রিটিস সৈন্যদের বার্ষিক মৃত্যু সংখ্যা হাজারে ৬৯; এখন হাজারে ১২। দ্বিতীয়তঃ, কাহারও কাহারও মনে এই ধারণা যে, আমাদের পুর্বপুরুষেরা এত বৈজ্ঞানিক নিয়ম পালন না করিয়াও সুস্থ ও দীর্ঘজীবী ছিলেন। কিন্তু শাস্ত্ৰাদি পাঠ করিলে দেখিতে পাওয়া যায় আমাদের পূর্বপুরুষেরা দেহকে দেবমন্দিরের ন্যায় শুদ্ধ রাখিতে অতিশয় যত্ন করিতেন। এবং আহার বিহার সম্বন্ধে নানাবিধ নিষেধ ও বিধি পালন করিতেন। আর একটা কথা মনে রাখা উচিত। সে কালে ও একালে তুলনা হয় না। এখন জনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভূমি ও বায়ুর মলিনতা বৃদ্ধি হইয়াছে, এবং খাদ্যের পরিমাণ হ্রাস হওয়াতে জীবন ধারণের জন্য নানাপ্রকার চিন্তা ও কাৰ্য্যে রত। থাকিয়া ও প্রতিকুল অবস্থার সঙ্গে সংগ্রাম করিয়া সকলের শরীর ক্ষয় হইতেছে। বিশেষতঃ অনেক নদী ও খাল বিশুষ্ক ও ভরাট হওয়াতে পার্শ্ববৰ্ত্তী জনপদ আদ্র ও ম্যালেরিয়ার আবাস ভূমিতে পরিণত হইয়াছে। এখন দেশ ও কাল পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের নবাবিষ্কৃত বিধি অনুশীলন করিতে হইবে। তৃতীয়তঃ, কেহ কেহ এই বলেন যে, ইতর শ্রেণীয় লোকেরা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করিয়াও সুস্থ ও সবল থাকে। কলিকাতার সুপ্ৰসিদ্ধ স্বাস্থ্যতত্ত্বদর্শী ডাক্তার সিমসনের স্বাস্থ্যবিবরণী পাঠ করিলে এই ভ্ৰম দূর হয়। তিনি বলেন বিস্তুচিকা রোগে অট্টালিকায় যত মৃত্যু হয়, অস্বাস্থ্যকরকুটীরবাসী গরিবদের মৃত্যু তদপেক্ষা তিনগুণ অধিক । পুষ্টিকর দ্রব্য ভোজন, মাঠের নিৰ্ম্মল বায়ু সেবন ও সচ্ছন্দ চিত্তে শারীরিক শ্রমসাধন বশতঃ গ্ৰাম্য কৃষকদের