পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য-রক্ষা । ·ථ දෘ করিয়া আহার করিলে, ক্ষুধ-শান্তি হইল কি ন? তাহ অনায়াসেই বুঝা যাইতে পারে। তাড়াতাড়ি করিয়া খাইলে অলপ সময়ে অধিক অন্ন উদরস্থ হয় বটে, কিন্তু তাহা হইলেই যে শীঘ্র শীঘ্র শরীর-পোষণ হয় এরূপ নহে । এদেশের স্ত্রীদিগের ভাঞ্জ তাদোষে আতিভোজনের প্রাদুর্ভাব হইতেছে। অধিক আহার দিলে শিশু-সন্তানের শীঘ্র শীঘ্ৰ সবল হইবে ভাবিয়া তাহার। কত অনিষ্ট করিয়া থাকেন। সকল শিশুই প্রায়ই উদরাময় প্রভৃতি ক্লেশকর রোগ গ্রস্ত হইয়া থাকে, ও অনেকে অলপ বয়সে মৃত্যুশয্যায় শয়ন করিয়া অবোধ জননী দিগকে চিরদুঃখিনী করিয়া যায়। কিন্তু মুখত কি মুখের বিষয় ! প্রকৃত কারণ না জানাতে তাহদের কোন অনুতাপই হয় না । শৈশবাবস্থায় অতিভোজন অভ্যাস হইলে আমাদের স্থিতিস্থাপক পাকস্থলীর আয়তন ব্লদ্ধি হয়, সুতরাং প্রয়োজনীতিরিক্ত আহার না করিলে আর তৃপ্তি বোধ হয় না , ক্রমে যত বয়োরুদ্ধি হয়, ততই অপরিমিত আহারে প্ররত্তি জন্মিয়া যায় । যাহারা মাতৃক্রোড়ে এরূপ দোষ কর ব্যবহারে দীক্ষিত হয় তাহদের বঁffচবার উপায় কি ? প্রসিদ্ধ ডাক্তার ফাউলার, খাদ্যের উপযুক্ত পরিমাণ নির্ণয়করণবিষয়ে যে উপদেশ দিয়াছেন, এস্থলে তাহার কিয়দংশ উদ্ধত করা গেল । খাদ্যের পরিমাণ স্থির করা নিতান্ত প্রয়োজনীয় ।