পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 স্বাস্থ্য-রক্ষণ । দেশে অধিক আহারের প্রয়োজম হয়, আর অলস অপেক্ষা শ্রমজীবী লোকে অধিক আহার করিয়া থাকে। যে পরিমাণে অtহার করিলে সচরাচর চলিতে পারে তাহার বিষয় নিম্নে লিখিত হইল । দিবারাত্র মধ্যে পুষ্টিকর শুষ্কন্দ্রব্য এক সেরের অধিক রন্ধন করিয়া খাইবার প্রয়োজন হয় না। যাহারা দুৰ্ব্বল, ও যাহাদিগকে পরিশ্রম করিতে হয় না, ইহার অনেক কম পরিমাণে খাইলেই, তাহাদের শরীর রক্ষা হইতে পারে । প্রত্যহ ৩ বারে দেড় পোয়া চালের ভাত, এক পোয় ময়দার লুচী বা ৰুটী, দুই ছটাক ডাল, ও আধ সের দুধ থাইলেই স্বাস্থ্য ও সামর্থ্য থাকিতে পারে । অধিক পরিশ্রম করিতে হইলে, ডালের পরিবর্তে এক পোয় মাংস খাইলে চলিতে পারে । পরিশ্রম ও বয়স ভেদে আহারের পরিমাণের তারতম্য হইয়া থাকে । এস্থলে দেশাচারের অনুবৰ্ত্তী হইয়া প্রত্যহ তিনবার আহার গ্রহণের অনুমোদন করা গেল, কিন্তু বাস্তবিক ইহাই যে প্রকৃতির নিয়ম এরূপ বলা যায় না। আমাদের দেশের বিধবার দিনান্তে একবার অন্নগ্রহণ করেন, তাহাদের মধ্যে অনেকেই মুস্থশরীরে দীর্ঘজীবী হইয়া থাকেন। উত্তর পশ্চিম প্রদেশীয় অনেক লোকে প্রত্যহ একবারের অধিক আহার করে না এবং ব্রাহ্মণের মধ্যে কেহ কেহ অদ্যাপিও একাহারী আছেন। অনেকে প্রত্যহ দুই বারের অধিক আহার করেন না, এবং পুৰ্ব্বত্বে বা পরাহ্লে জল