পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 to স্বাস্থ্য-রক্ষণ । পিপাসা হইলেই জল পান করা উচিত। যে পরিমাণে পান করিলে পিপাসা শান্তি হয়, তাহার অধিক থাইলে পীড়া জন্মে। কিন্তু অতিভোজন যেমন অনিষ্টকারী, অতিপান তত দোষাবহ নহে । অতিরিক্ত জলীয় ভাগ অতিশীঘ্রই ঘৰ্ম্ম ও মুত্ররূপে বহির্গত হইয়া যায় , কিন্তু ঘৰ্ম্মাদির আতিশয্যবশতঃ ক্লেশ হইয়া থাকে । ক্ষুধাসময়ে, যেমন ধীরে ধীরে আহার করিলে ক্ষুধাশান্তি হইল কি না, তাহ অনায়াসেই বুঝা যায়, সেই রূপ পিপাসা হইলে ক্রমে ক্রমে অলপ অলপ করিয়া জল খাইলে পিপাসানিবারণ হইল কি না, অনায়াসে তাহার উপলব্ধি হয় । যেমন আহার করিব মাত্র ক্ষুধাজনিত ক্লেশ যায় না, সেইরূপ জল পান করিব মাত্র পিপাসা ও অন্তহিত হয় না । যে পর্য্যন্ত পীতবারির কিয়দংশ শরীরের কার্যে নিয়োজিত না হয়, ততক্ষণ পিপাসাজনিত ক্লেশ অন্তহিত হুইবার নহে । জল প্রভৃতি তরল পদার্থ আমাশয়ের সংলগ্ন নাড়ীবিশেষদ্বারা শোষিত হইয় শীঘ্রই শরীরের কার্য্যে লাগে। যখন পরিশ্রম করিতে করিতে ঘৰ্ম্ম-নিঃসরণ হয়, তৎকালে শীতল জল পান করা অবৈধ। ঘৰ্ম্ম-নিঃসরণকালে, ত্বগভিমুথে রক্তের গতি হয় । শীতল জল পান করিলে, সহসা সেই গতির ব্যাঘাত হয় তাহাতে ত্বগতিমুখে-ধাবিত-রক্ত প্রত্যারত্ত হইয়া, হৃদয়, ফুসফুস বা পাকঘন্ত্রে গমন করিয়া তাহাদের পীড়া উৎপাদন করে।