পাতা:স্বাস্থ্য-সোপান - শ্রীপতিচরণ সরকার.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষয়কাশ । যেমন দুষ্ট ব্ৰণ রোগ, দেহের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে প্ৰকাশ হইয়া ভিন্ন ভিন্ন নাম ধারণ করে, সেইরূপ এই রোগও যখন ফুসফুসকে আক্রমণ করে তখন যক্ষ্মাকাশ, বাক-যন্ত্রে হইলে বাগিন্দ্ৰিয় যক্ষ্মা, গলগ্ৰন্থিতে হইলে গণ্ডমালিক যক্ষ্মা প্ৰভৃতি নাম ধারণ করে । ইহা ব্যতীত, এ রোগ দেহের প্রায় সব যন্ত্র ও গঠনকে আক্রমণ করিয়া থাকে। । ইহা অনেক পশু পক্ষীরাও হইয়া থাকে ; কিন্তু বন্য অপেক্ষা গৃহপালিত প্ৰাণিগণেরই অধিক দেখিতে পাওয়া যায়। প্লেগ, বসন্ত, বিসূচিকাদি রোগের ন্যায়। ইহাও সংক্রামক এবং প্ৰাণহানিকর । রোগীর গায়ের সিকোন প্ৰভৃতির সহিত ইহার জীবাণু লক্ষ লক্ষ সংখ্যায় উদগীৰ্ণ হইয়া, অসংখ্য লোকের রোগক্রান্ত হইবার বীজ বিস্তৃত করিয়া থাকে। এ সব যক্ষ্মারোগের মূল কারণ একপ্রকার উদ্ভিদজাত জীবাণু। ইহারা দেখিতে অতি ক্ষুদ্র, সরল ও সূক্ষ্ম তৃণখণ্ডের ন্যায়। " সচরাচর ইহা প্ৰায় সমস্ত সুস্থ ব্যক্তির গায়ের, সিকেন্যাদি মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় ; কিন্তু আমাদের দেহস্থ রোগ-প্রতিরোধক শক্তি, সৰ্ব্বদা সংহার-মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া, এই জাতীয় জীবাণুৰ সমূহের অবিরত ধ্বংস করিতেছে। আমাদের নানা অস্বাস্থ্যকর ক্রিয়া দ্বারা, রোগ উৎপাদক জীবাণু সকল ভয়ঙ্কররূপে বৰ্দ্ধিত ও