পাতা:স্বাস্থ্য-সোপান - শ্রীপতিচরণ সরকার.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাত্রেরই ঢাকনী থাকা আবশ্যক; কারণ, মাছি দুধে বসিলে, সে দুধ সন্দেহজনক পানীয় হইয়া থাকে। কি খাদ্য, কি পানীয়, বিশ্বাসযোগ্য না হাঁটলে, তাহা বর্জন করাই শ্ৰেয় । পূর্বে দুগ্ধের প্রচুর উৎপত্তি ছিল ; সেজন্য, এদেশের অনেকেই দুধ পান করিত। এক্ষণে বিবিধ কারণে, দুধের ঘোর মহাৰ্যতা উপস্থিত হইয়াছে; সেজন্য, পূর্বের নিয়ম সকলের পালন করা কৰ্ত্তব্য নহে। কারণ, অনেক গরীব দুঃখী, আপনি শিশু সন্তানকেও বঞ্চিত করিয়া, দুধ বিক্রয় করিয়া থাকে। দুগ্ধের প্রকৃত অধিকারী শৈশব প্ৰাণিগণ। জগৎপাতা জগদীশ্বর ইহাদের প্রাণ রক্ষার্থে-ইহাদের মাতৃগর্ভে জন্মগ্রহণের পর হইতে, জননীর স্তনে ক্ষীর প্রেরণ করিয়া থাকেন। সেই দুধ, এখন সকলে অপহরণ করায়, ইহা শৈশবগণের অকাল-মৃত্যুর একটী কারণ হইয়াছে। দুগ্ধজাত দধি, ঘোল, তক্র, ছানা, ননী, মাখন, ক্ষীর, খুয়া, ঘূত ইত্যাদি দ্রব্যগুলি পরম পুষ্টিকারক, বলবৰ্দ্ধক ইত্যাদি হইয়া থাকে। দধি ও ঘোল উদরাময় রোগীর আহার ও ঔষধ উভয়ই হইয়া থাকে। ছানা মস্তিষ্ক ইত্যাদির পক্ষে উপকারী ৷ তক্ৰ কোন কোন রোগীর পথ্য ; পনীর ও ঘূত, ননী অপেক্ষা লঘুপাচ্য এবং সুখসেব্য। পিষ্টকাদি পুষ্টিকর খাদ্য ; কিন্তু ইহা পরিমিত পরিমাণে আহার না করিলে, অনেক সময় কষ্ট পাইতে হয়। অন্ন, আহারের পূর্বে বা পরে ব্যবহার করা যাইতে পারে।