একবার আমাদের গুরুঠাকুর এসেছিলেন। তাঁকে বাবামশায় জিজ্ঞেস করেছিলেন—কিরকম কন্যাদানে বেশি পুণ্য হয়। তিনি বললেন—সাত বছর বয়সে বিয়ে দিলে, অর্থাৎ গৌরীদানে। ঠিক সেই বয়সেই আমার বিয়ে হয়। কলকাতার ঠাকুরবাড়ী থেকে তখন যশোরে মেয়ে খুঁজতে পাঠাত, কারণ যশোরের মেয়েরা নাকি সুন্দরী হত। যে সব দাসীরা মনিবের পছন্দ ঠিক বুঝতে পারে, তাদের খেলনা দিয়ে তাঁরা মেয়ে দেখতে পাঠাতেন। আমাদের ওখানেও এইরকম দাসী গিয়েছিল।
আমার শাশুড়ীর (মহর্ষির স্ত্রী) রং খুব সাফ ছিল। তাঁর এক কাকা কলকাতায় শুনেছিলেন যে, আমার শ্বশুরমশায়ের জন্য সুন্দরী মেয়ে খোঁজা হচ্ছে। তিনি দেশে এসে আমার শাশুড়ীকে (তিনি তখন ছয় বৎসরের মেয়ে) কলকাতায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দিলেন। তখন তাঁর মা বাড়ী ছিলেন না—গঙ্গা নাইতে গিয়েছিলেন। বাড়ী এসে, মেয়েকে তাঁর দেওর না বলে-কয়ে নিয়ে গেছেন শুনে তিনি উঠোনের এক গাছতলায় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে লাগলেন। তারপর সেখানে পড়ে পড়ে কেঁদে কেঁদে অন্ধ হয়ে মারা গেলেন। আমার দিদিশাশুড়ীও খুব সুন্দরী ছিলেন শুনেছি। তাঁকেও নাকি মনুবুড়ি বলে এক পুরনো দাসী পছন্দ করে এনেছিল।
আমাকে বোধ হয় দাসী পছন্দ করে’ গিয়েছিল। যখন আমার বিয়ের দিন সব ঠিক হয়ে গেল, তখন তাঁরা আমাকে আনতে সরকার চাকর দাসী ইত্যাদি পাঠালেন।
বিয়ের পর বাসী বিয়েতে আমাকে মেয়েপুরুষ মিলে ঘেরাটোপ দেওয়া পালকিতে নিতে এসেছিল। শ্বশুরবাড়ীর অন্দরমহলে যখন পালকি নামাল তখন বোধ হয় আমার শাশুড়ী আমাকে কোলে করে’ তুলে নিয়ে গেলেন। তাঁর ভারী মোটা শরীর ছিল, কিন্তু আমি খুব